Published : 07 Jul 2023, 12:50 AM
নেত্রকোণায় জিংক ও আয়রণ সমৃদ্ধ এবং উচ্চ ফলনশীল ধানের ১,২৪০ কেজি আমন বীজ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সদর ও বারহাট্টা উপজেলার কৃষকদের মাঝে স্থানীয় বাসিন্দা কৃষিবিদ সারোয়ার মোরশেদ আকন্দের নিজস্ব অর্থায়নে এই বীজ বিতরণ করা হয়।
সারোয়ার মোরশেদ আকন্দ জানান, দুই উপজেলার ৫৭০ জন কৃষকের মাঝে জিংক ও আয়রণ সমৃদ্ধ বিনা ২০ ও ৭ জাতের ধান বীজ ছাড়াও ব্রি হাইব্রিড ৪, ৬ এবং উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি-৭৫, ৭৯, ৮৭, বিনা ৭, ১৭, ২০ ধানের বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
প্রত্যেক কৃষককে এক কেজি হাইব্রিড ও আড়াই কেজি করে উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ দেওয়া হয় বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, “এলাকায় উন্নত জাতের ধান আবাদ বাড়াতে কৃষকদের উৎসাহিত করছি। প্রধানমন্ত্রীর আহবান এক ইঞ্চি জমিও খালি রাখা যাবে না। সাথে উন্নত প্রযুক্তি আর উন্নত জাতের ফসল ফলানো দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াবে। এলাকার সরকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। সচেতন করার চেষ্টা করছি। কৃষকদেরও সাড়া মিলছে।”
এবারের বীজ আবাদের পর এই ফলন থেকে কৃষকরা নিজেরাই বীজ সংরক্ষণ করতে পারবে; আর এভাবেই নতুন উন্নত জাতের এসব জাতের ফসলের রআবাদ বাড়বে বলে তিনি আশা করছেন।
১,২৪০ কেজি আমন বীজ দিয়ে ৪৫০ একর জমিতে আবাদ করা যাবে বলে তিনি মনে করেন।
মদনপুর এলাকার কৃষক আয়েন উদ্দিন বলেন, “আমি বিনামূল্যে বীজ পাইছি। কৃষি কর্মকর্তা কইছে, এই জাতের ধান অনেক ভালা। এই ধানের মধ্যে খাদ্যের গুণও বেশি কইছে। দেহি, এইবার। ভালা ফলন অইলে আগামীতে নিজেই বীজ সংরক্ষণে রাখবে।”
একই এলাকার আরেক কৃষক জমির উদ্দিন বলেন, “মোরশেদ সাহেবের কাছ থেকে আমিও বীজ নিছি। আমরার এইহানের আরো অনেকেই বীজ নিছি বিনামূল্যে। সরকারি লোকজনেও কইছে, এই বীজ নাকি অনেক ভালা। ভালা ফলনও অইবো। গুণও নাকি বেশি।”
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিন বিনামূল্যে বীজ বিতরণের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় উল্লেখ করে বলেন, “এতে করে উন্নত জাত ও প্রযুক্তির ধান এলাকায় চাষের আওতায় আনতে ভূমিকা রাখবে। আমরাও সারোয়ার মোরশেদের এই উদ্যোগকে গ্রহণ করতে বলছি কৃষকদের।”
বীজ বিতরণ উপলক্ষে মদনপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রাঙ্গণে কৃষকদের নিয়ে সভা হয়। সভায় কৃষিবিদ সারোয়ার মোরশেদ আকন্দ ও সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এই ধান চাষের আওতা বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান।