Published : 02 Jan 2024, 09:08 AM
কুড়িগ্রামে বইছে হিমেল হাওয়া, সঙ্গে ঘন কুয়াশা। ফলে কনকনে ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে উত্তরের এই জনপদ।
ঘন কুয়াশায় জেলার সড়ক ও নৌ পথে চলাচল ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দিনের বেলাও সড়ক পথে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহনগুলো।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টায় জেলায় ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
রাতে এই তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে বলে জানিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এ মাসে একটি শৈত্য প্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
গত তিন দিন ধরেই তীব্র শীতে দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন এই জেলার মানুষজন। সোমবার সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জেলার প্রায় সাড়ে চারশত চরাঞ্চলের জনজীবনে শীতের প্রকোপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির মত ঝরে পড়া কুয়াশায় কাজের সন্ধানে ছুটে চলা মানুষজন পড়ছে ভোগান্তির মুখে। তীব্র ঠান্ডায় সবজি ক্ষেত ও বীজতলা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে দুশ্চিন্তা দিন দিন বেড়েই চলছে চাষিদের।
হোটেলে কাজ করা কুড়িগ্রাম পৌর শহরের টাপু ভেলাকোপা গ্রামের মো. আসলাম হোসেন বলেন, “সারারাত কনকনে ঠান্ডা দিনের বেলাও একই অবস্থা। এমন অবস্থায় আমার মত খেটে খাওয়া মানুষজনের কষ্টের শেষ নেই। কাজ না করে ঘরে বসে থাকলে তো পেটে ভাত জুটবে না।”
ধরলার পাড়ের নজরুল ইসলাম বলেন, “দু’তিন দিন ধরে খু্ব ঠান্ডা পড়তেছে। সকালে উঠে জমিতে কাজে যেতে হয়। কাজ করতে গিয়ে হাত পা বরফের মত ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।”
এদিকে শীতের দাপটে বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশু বয়সীরা পড়েছে চরম বিপাকে। শীত নিবারণে পর্যাপ্ত কাপড় না থাকায় ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন তারা।
জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গরম কাপড় বিতরণ করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে শুরু করলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলছেন শীতার্তরা।