Published : 20 Feb 2024, 09:52 PM
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ওয়াজ মাহফিল থেকে আলোচিত এক ধর্মীয় বক্তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার গুজবে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সোমবার মধ্যরাতে উপজেলার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে চালানো হামলার ঘটনায় এসআই নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন।
মঙ্গলবার বিকালে তাহিরপুর থানায় করা এ মামলার পর সন্ধ্যায় বাদাঘাট বাজারে স্থানীয়দের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটকরা হলেন- আহমদ, মোজাম্মিল হক, রায়হান মিয়া, মোশারফ মিয়া ও নাসির মিয়া। তারা পৈলনপুর, বড়গোপটিলা ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দা।
তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন, “সোমবার মধ্যরাতে বাদাঘাট বাজারে স্থানীয় ‘হিফজুল ফজল পরিষদ’ নামের একটি সংগঠন দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে।
“রাত ১২টার পর তাদের অনুষ্ঠান শেষ হলে হঠাৎ গুজব রটিয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা গুজব রটায় আলোচিত ধর্মীয় বক্তা রফিকুল ইসলাম মাদানীকে তাফসিরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
একটি ‘উগ্রবাদী’ গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করতে চেয়েছে বলে দাবি ওসির।
তিনি বলেন, হামলাকারীরা ফাঁড়ির গেইটসহ দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আটক করা হয় পাঁচজনকে।
এ ঘটনায় বিকালে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞতা আরও ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে; জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে সন্ধ্যায় বাদাঘাট বাজারে তাৎক্ষণিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা করে স্থানীয়দের সহযোগিতা চেয়েছে পুলিশ।
মামলার বাদী বাদাঘাট পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নাজমুল ইসলাম বলেন, “হামলার সময় আমরা ফাঁড়িতে মাত্র তিনজন ছিলাম। তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ ডেকে বড় ধরনের হামলা থেকে রেহাই পাই।”
আরও পড়ুন: