Published : 12 Dec 2023, 04:24 PM
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ২০ কেজি ওজনের একটি ‘হিমালয়ান’ শকুন উদ্ধার করেছে উপকূলীয় বন বিভাগ।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়ন শাহপরীর দ্বীপের ডেইল পাড়া থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয় বলে টেকনাফ উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা বশির আহমেদ খান জানান।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বশির আহমেদ বলেন, সোমবার সন্ধ্যার দিকে একঝাঁক শকুন উড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ একটি শকুন উড়ে এসে ওই এলাকার মোহাম্মদ আলমের বাড়ির একটি গাছে বসে। কিছুক্ষণ পর শকুনটি গাছ থেকে পড়ে যায়।
“এ সময় শকুন দেখতে প্রচুর লোকজন জড়ো হয়। খবর দিলে শকুনটি উদ্ধার করে উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। শকুনটি আহত কী না, তা দেখার জন্য টেকনাফ প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নেওয়া হয়।”
তিনি আরও বলেন, এটি একটি হিমালয়ান গ্রিফন শকুন। এটির বৈজ্ঞানিক নাম জিপস হিমালয়েনসিস (Gyps himalayensis)। মঙ্গলবার বিকালে এটি চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের হস্তান্তর করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ বা আইইউসিএনের লাল তালিকায় হিমালয়ান গ্রিফন শকুনকে রাখা হয়েছে ‘প্রায়-বিপদগ্রস্ত’ ক্যাটাগরিতে। এর মানে হল, এই প্রাণীর প্রজাতি নিকট ভবিষ্যতে বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের উপসহকারী কর্মকর্তা হারাধন চন্দ্র সুশীল বলেন, এটি একটি পুরুষ শকুন। বয়স ১৫-২০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। শকুনটির ওজন প্রায় ২০ কেজি। উচ্চতা প্রায় দুই ফুট। দৈর্ঘ্য (পাখা মেলে) ৯ ফুট।
“কোনো কারণে উড়তে না পারায় দলছুট হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল। তবে পাখিটির শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। শকুনটিকে দুটি মুরগির বাচ্চা খেতে দেওয়া হয়েছে।”
কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ইনচার্জ মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে হিমালয়ান গ্রিফন শকুনটি সাফারি পার্কে নিয়ে আসে টেকনাফ উপকূলীয় বন বিভাগের লোকজন।
“সেটাকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ১৪ দিন তার সবকিছু নজরদারিতে রাখা হবে। এরপর সে নিজে নিজে চলাফেরা করতে পারছে দেখলে অবমুক্ত করা হবে।”
শকুনটি অন্য কোথাও চলে না গেলে পার্কের বেষ্টনীতে রেখে খাওয়ানো হবে বলে জানান তিনি।