চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
Published : 13 Mar 2025, 05:32 PM
রেয়াল মাদ্রিদে দারুণ সাফল্যের পর পিএসজিতে দেড় বছর মার্কো আসেন্সিওর কেটেছে ভুলে যাওয়ার মতো। এখন তার সামনে সুযোগ এসেছে ফরাসি ক্লাবটিকে নিজের নাম মনে করিয়ে দেওয়ার।
পিএসজি থেকে গত মাসে ধারে অ্যাস্টন ভিলায় পাঠানো হয় ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দলটির হয়ে এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে নিজের মূল ক্লাবের বিপক্ষে খেলবেন তিনি।
আসেন্সিওর জোড়া গোলে বুধবার শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে ক্লাব ব্রুজকে ৩-০ গোলে হারিয়ে, ৬-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে জায়গা করে নেয় ভিলা।
রেয়াল মাদ্রিদের তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বড় অবদান রাখা আসেন্সিও ২০২৩ সালের জুলাইয়ে যোগ দেন পিএসজিতে। প্যারিসে ১৮ মাসের একটু বেশি সময় সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৩ ম্যাচে স্প্যানিশ এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার গোল করতে পারেন কেবল ৭টি। যদিও গত মৌসুমে ফরাসি লিগ ও কাপের ‘ডাবল’ জয়ের স্বাদ পান তিনি।
রেয়ালে সাত বছরে তিনি ট্রফি জেতেন ১৭টি, যা বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন হিসেবে বিবেচিত আলফ্রেদো দি স্তেফানোর সমান।
পিএসজিতে কঠিন সময় পেরিয়ে ভিলায় আসার পর যেন আসেন্সিওর পুনর্জন্ম হয়েছে। দলটির হয়ে তার ৭ গোল হয়ে গেছে ৮ ম্যাচেই। আর এই ৭ গোলই করেছেন সবশেষ পাঁচ ম্যাচে। ভিলার হয়ে আসেন্সিওর অভিষেকের পর থেকে এই সময়ে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের ফুটবলারদের মধ্যে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার চেয়ে বেশি গোল করতে পেরেছেন কেবল পিএসজির উসমান দেম্বেলে, ৮টি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে দুই লেগে আসেন্সিওর গোল ৩টি। প্রথম লেগে করেছিলেন একটি। ফিরতি লেগে ভিলা পার্কে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বদলি নেমে ৫০ থেকে ৬১- এই ১১ মিনিটের মধ্যে দুই গোল করেন তিনি।
শেষ আটের প্রথম লেগে আগামী মাসে পিএসজির মাঠে খেলবে ভিলা। সেই ম্যাচে তাকিয়ে আছেন আসেন্সিও।
“খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি। সতীর্থ, সমর্থক এবং এই শহর নিয়ে খুবই খুশি আমি। (পিএসজির বিপক্ষে) ম্যাচ নিয়ে ভাবার জন্য আমাদের হাতে এক-দুই সপ্তাহ সময় আছে। দল ও সমর্থকদের জন্য খুবই খুশি আমি।”
“প্রতিটি ম্যাচেই এখানকার আবহ ভালো থাকে। আমরা আরও চাই। সামনের লক্ষ্যগুলো নিয়ে ভাবার জন্য এখন আমাদের একটু বিরতি আছে। আমি (ভিলার পার্কের দা হোল্ট প্রান্তে) গোল করতে পছন্দ করি। আমরা নতুন খেলোয়াড়দের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছি, কিন্তু আমরা সঠিক পথে আছি।”
আগামী গ্রীষ্মে আসেন্সিওকে পাকাপাকিভাবে কিনতে চান কি-না, এমন প্রশ্নে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি ভিলা কোচ উনাই এমেরি। তবে এই খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্সে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি।
“এটা (কিছু বিষয়ের ওপর) নির্ভর করে, অবশ্যই আমরা তাকে নিয়ে খুশি। আমরা তার সুরক্ষার বিষয়টি দেখছি, কারণ সে শতভাগ ফিট ছিল না, তবে সে প্রায় সুস্থই ছিল।”
“সে শুরু থেকে খেলতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তার সুরক্ষার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৪৫ মিনিট যেভাবে সে খেলেছে, তা আমাদের জন্য অসাধারণ। আমাদের তাকে প্রয়োজন ছিল এবং সে দায়িত্ব পালন করেছে।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাসেন্সিওই প্রথম খেলোয়াড় নন, যিনি ধারে এক ক্লাবে থেকে তার মূল ক্লাবের মুখোমুখি হবেন। ভিলার সামুয়েল ইলিং-জুনিয়র গত অক্টোবরে বোলোনিয়ার হয়ে তার মূল ক্লাবের বিপক্ষে খেলেছিলেন। থিবো কোর্তোয়া ধারে আতলেতিকো মাদ্রিদে থেকে চেলসির মুখোমুখি হয়েছিলেন ২০১৩-১৪ মৌসুমে।