ইংলিশ ফুটবল
Published : 10 Oct 2024, 06:28 PM
থমকে থাকা ক্যারিয়ার নিয়ে তাড়াহুড়া করতে নারাজ গ্যারেথ সাউথগেট। অন্তত এক বছর এসব থেকে দূরে থাকতে চান ইংল্যান্ড জাতীয় দলের সাবেক এই কোচ। সামনের সময়টায় নিজের শরীর ও মনকে চনমনে হয়ে উঠতে সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
ইংল্যান্ডের কোচ হিসেবে আট বছর কাজ করার পর গত জুলাইয়ে সরে দাঁড়ান সাউথগেট। এখন আর দলের কৌশল, খেলা নিয়ে মাথা ঘামানোর ব্যাপার নেই তার। আলোচনা-সমালোচনার জবাব দেওয়ারও তাগিদ নেই। অনেক বছর পর চাপহীন ও ফুরফুরে সময় কাটাচ্ছেন তিনি।
২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের কোচ হন সাউথগেট। দুই বছর পর বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে তিনি নিয়ে যান দলকে। গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড খেলে শেষ আটে। কোচ হিসেবে সাউথগেটের সেরা সাফল্য ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে। টানা দুটি ইউরোর ফাইনালে তিনি নিয়ে যান দলকে। তবে ট্রফির স্বাদ পাওয়া হয়নি কোনোবারই।
সাউথগেটের কোচিংয়ে ইংল্যান্ডের খেলার ধরন সমালোচিত হয় প্রবলভাবে, তবে মাঠের ফুটবলে তা কার্যকর প্রমাণিত হয় বেশিরভাগ সময়। ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন তাকে রাখতেই চেয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ ইউরোর ফাইনালে স্পেনের কাছে হারার পর আর চালিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পাননি সাউথগেট।
ইউরোপিয়ান ক্লাব অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আপাতত এক বছর আর কোচিংয়ে ফিরতে চান না।
“মাঝেমধ্যে বড় ভূমিকায় থাকলে দায়িত্ব হারানোর আগ পর্যন্ত এর ওজন উপলব্ধি করা যায় না। এটা এমন একটা কাজ যেখানে প্রত্যেকেরই মতামত থাকে।”
“আমি জীবনকে উপভোগ করছি, তাই কোনো তাড়াহুড়া নেই। ১১ বছর ধরে আমি জাতীয় ফেডারেশনের প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। এটা নিশ্চিত আগামী বছর কোচিংয়ে যোগ দেব না। এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। আপনি যখন বড় ভূমিকা থেকে বেরিয়ে আসবেন তখন শরীর ও মনকে সময় দিতে হবে।”
কোচিংয়ে আপাতত বিরতি নিলেও আড়ালে যেতে পারেননি সাউথগেট। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের তুমুল সমালোচিত কোচ এরিক টেন হাগের সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে তার নাম আলোচনায় এসেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে। উয়েফার টেকনিক্যাল পর্যবেক্ষক হিসেবে কাজ করতে পারেন বলেও খবর হয়েছে। তাকে নিয়ে আছে আরও কিছু গুঞ্জন।
সাউথগেট অবশ্য বলেছেন, অন্য কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা নেই তার। সবকিছু মনমতো হলেই কেবল কোনো ক্লাবকে কোচিং করানোর কথা বিবেচনা করবেন।
“ক্লাব ফুটবলে ফেরা? এটা নির্ভর করছে কী ভূমিকা তার ওপর। আমি ভাগ্যবান যে অসাধারণ সব খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। প্রতিদিন কাজে যাওয়ার জন্য উত্তেজনা, আবেগ থাকতে হবে।”