Published : 02 Jun 2025, 12:14 AM
মোহামেডানের প্রথম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জয়ের উৎসব চলছেই। কদিন আগে ক্লাবের আঙিনায় উদযাপন করেছে তারা। এবার জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে বিজয়ী খেলোয়াড় ও কোচদের দিল সংবর্ধনা। সেখানেই স্বপ্নাতুর অধিনায়ক সুলেমানে দিয়াবাতে স্বপান জানালেন, আগামী মৌসুম নিয়ে লক্ষ্য।
এবারের আগে ২০০২ সালে সবশেষ শীর্ষ লিগে সেরা হয়েছিল মোহামেডান। ২০০৭ সালে প্রিমিয়ার লিগ নামকরণের পর, ২০২৪-২৫ মৌসুমে এসে প্রথম এই ট্রফিতে চুমু আঁকতে পারল সাদাকালো জার্সীধারীরা। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসানের বাঁধনহারা উৎসবও তাই চলছে। এই আনন্দের ফাঁকেই আগামী মৌসুম নিয়ে নিজেদের ভাবনা জানালেন মালির ফরোয়ার্ড দিয়াবাতে।
“প্রিমিয়ার লিগ জেতায় সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ। আমরা ভীষণ খুশি। আমার পরিবারের সবাই খুশি। এখন আমাদের লক্ষ্য আরও শিরোপা জেতা। আগামী মৌসুমেও সাফল্যের ধারাবাহিকতায় থাকা।”
গত মৌসুমে মোহামেডান হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করেছে কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম। ঐতিহ্যবাহী দলটির নেই কোনো নিজস্ব মাঠ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসা বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল মোহামেডানের যেকোনো উদ্যোগে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।
“দীর্ঘদিন পর লিগে সাফল্য পাওয়ায় মোহামেডানকে অভিনন্দন। মোহামেডান ঐতিহ্যবাহী দল। আমরা প্রত্যাশা করি, আগামীতে শুধু পুরুষ ফুটবল নয়, নারী ফুটবল নিয়েও তারা কাজ করবে। আগামীতে তারা যদি ভেন্যু নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়, তাহলে আমরা টেকনিক্যাল সমর্থন দিতে পাশে থাকব।”
এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্মরণীকা প্রকাশ করেছে মোহামেডান। সেখানে ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে ক্লাবের অতীত সাফল্যগাঁথা, ঐতিহ্য। জয়ী দলের সাবেক তারকা, ম্যানেজারদের ছবিও রাখা হয়েছে স্মরণীকার পাতায় পাতায়। ক্লাব সভাপতি জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল মুবিন অভিনন্দন বার্তায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন কোচ আলফাজ আহমেদের কথা।
“এবারের সাফল্য সত্যিই অতুলনীয়। বড় তারকাবিহীন একঝাঁক তরুণ খেলোয়াড় নিয়ে কোচ আলফাজ দলকে সুনিপূণভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফুটবলারদের কাছ থেকে সেরাটা বের করে যেভাবে সাফল্য এনে দিয়েছেন, তা ছিল অভাবনীয়।”
মোহামেডানের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর পরিশ্রমের ফল পেয়ে দারুণ খুশি। আগামীতেও এই সাফল্যের রথে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
“অনেকটা দুঃসময়ে ক্লাবের ফুটবল দলের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছিল। মোহামেডানের ঐতিহ্য ফেরাতে চেষ্টার ত্রুটি ছিল না আমাদের। অবশেষে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর বিপিএলে সাফল্য এলো। কোচ, টিম ম্যানেজার, কমিটির সবাই এবং তরুণ ফুটবলার যেভাবে অগণিত মোহামেডান সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন, তা অসাধরণ। আগামীতেও এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।”