Published : 16 Jun 2025, 08:02 PM
আড়াই বছর আগে রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়রের প্রতিমূর্তি ঝুলানোয় বর্ণ ও জাতিগত বিদ্বেষমূলক অপরাধে (হেইট ক্রাইম) দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন চার জন। তাদেরকে ১৪ থেকে ২২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে মাদ্রিদের আদালত।
২০২৩ সালের জানুয়ারিতে রেয়াল ও আতলেতিকো মাদ্রিদের কোপা দেল রের ম্যাচের আগে ঘটে ওই কাণ্ড। ভিনিসিউসের একটি প্রতিকৃতি বানিয়ে সেটাতে ২০ নম্বর জার্সি পরিয়ে রেয়ালের অনুশীলন মাঠের সামনের একটি ব্রিজ থেকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। সঙ্গে একটি ব্যানারও লাগিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে লেখা ছিল, ‘রেয়ালকে মাদ্রিদ ঘৃণা করে।’
ওই ঘটনায় লা লিগার করা অভিযোগের পর ২০২৩ সালের শেষের দিকে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার মাদ্রিদের আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে রায় দেয়।
লা লিগা বিবৃতিতে বলেছে, রায়ে একজনকে বিদ্বেষমূলক অপরাধের জন্য ১৫ মাসের কারাদণ্ড এবং অনলাইনে এই কাজের ছবি ছড়িয়ে হুমকি দেওয়ার জন্য বাড়তি সাত মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অন্য তিন জনকে বিদ্বেষমূলক অপরাধের জন্য সাত মাস করে এবং হুমকির জন্য সাত মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রথম আসামীকে এক হাজার ৮৪ ইউরো এবং অন্য তিন জনকে ৭২০ ইউরো জরিমানাও করা হয়েছে।
একই সঙ্গে ভিনিসিউসের বাড়ি বা কর্মস্থলের (রেয়াল মাদ্রিদের অনুশীলন মাঠ) এক হাজার মিটারের মধ্যে আসতে পারবেন না তারা।
লা লিগার অধীনে কোনো ম্যাচ বা স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন আয়োজিত যেকোনো প্রতিযোগিতার সময় প্রতিটি ম্যাচ শুরুর চার ঘন্টা আগে থেকে ম্যাচ শেষের চার ঘন্টা পর পর্যন্ত স্টেডিয়ামের এক হাজার মিটারের মধ্যেও তারা আসতে পারবেন না।
যদিও ভিনিসিউস, রেয়াল মাদ্রিদ, লা লিগা ও স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠিতে স্বাক্ষর করায় এই চার জনের কারাদণ্ডের সাজা স্থগিত থাকবে।
২০১৮ সালে রেয়ালে যোগ দেওয়ার পর থেকে অসংখ্যবার প্রতিপক্ষের সমর্থকদের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন ভিনিসিউস।
তাকে লক্ষ্য করে বর্ণবাদী আচরণের ঘটনায় গত বছরের জুনে ভালেন্সিয়ার তিন সমর্থককে আট মাসের স্থগিত কারাদণ্ড দিয়েছিল আদালত।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে রেয়াল ভাইয়াদলিদের মাঠে ভিনিসিউস লক্ষ্য করে বর্ণবাদী আচরণের দায়ে গত মাসে পাঁচ জনকে এক বছরের স্থগিত কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের জরিমানা করে আদালত।
সেটিকে বলা হয়েছিল ‘ঐতিহাসিক’ রায়। কেননা স্পেনে ফুটবল স্টেডিয়ামে বর্ণবাদী আচরণকে সেবারই প্রথম ‘হেইট ক্রাইম’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।