নেশন্স লিগ
Published : 06 Jun 2025, 03:43 PM
ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ততা শেষে ঠিকানা এখন জাতীয় দল। সতীর্থ, কোচ, ড্রেসিং রুমের আবহ, সব বদলে গেছে; কিন্তু লামিনে ইয়ামালের পারফরম্যান্সের ঔজ্জ্বল্য আছে আগের মতোই। উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্সের বিপক্ষে দলের জয়ে যেভাবে তিনি আলো ছড়ালেন, আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দিলেন, তাতে তরুণ এই ফরোয়ার্ড ব্যালন দ’র জয়ের যোগ্য দাবিদার হয়ে উঠেছেন বলে মনে করেন স্পেনের কোচ লু্ইস দে লা ফুয়েন্তে।
উয়েফা নেশন্স লিগের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে প্রায় প্রথম এক ঘণ্টায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ ছিল স্পেনের। ওই সময় ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল তারা। পরে অবশ্য লড়াই জমিয়ে তোলে ফরাসিরা। ৯ গোলের নাটকীয় লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত ৫-৪ গোলে জেতে গতবারের নেশন্স লিগ জয়ীরা।
মৌসুম জুড়ে বার্সেলোনার হয়ে দ্যুতি ছড়ানো এই তরুণ সেনসেশন স্টুটগার্টের এই ম্যাচেও নিজেকে মেলে ধরেন সেরা রূপে, জোড়া গোল করে জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এবছরের ব্যালন দ’র বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হবে আগামী সেপ্টেম্বরে। এবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের সম্মানজনক পুরস্কারটির লড়াইয়ে ইয়ামাল ও পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী উসমান দেম্বেলেকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখছেন অনেকে।
তবে নেশন্স লিগের ফাইনাল নিশ্চিতের পর স্পেন কোচ দে লা ফুয়েন্তে যেন বলতে চাইলেন, সেরার লড়াই শেষ হয়ে গেছে, ইয়ামালই বিজয়ী।
“ইয়ামাল আজ রাতে একটা পরিষ্কার বার্তা দিয়ে দিল এবং দেখিয়ে দিল যে, তারই ব্যালন দ’র জেতা উচিত। সে বিশ্বের সেরা ফুটবলার এবং আমার মতে, ব্যালন দ’র তার প্রাপ্য।”
ক্লাব ফুটবলে এই দুই ব্যালন দ’রের দাবিদারেরই মৌসুমটা দুর্দান্ত কেটেছে।
বার্সেলোনার জার্সিতে ইয়ামাল জিতেছেন লা লিগা, কোপা দেল রের ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও তারা ছুটছিল দারুণ ছন্দে; কিন্তু ইন্টার মিলানের বিপক্ষে দুই লেগের অবিশ্বাস্য লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত হেরে যায় দলটি। তুলনায়, দেম্বেলের দলগত সাফল্য অবশ্য একটু বেশিই ভারি। পিএসজির হয়ে তিনি জিতেছেন লিগ আঁ, ফরাসি কাপ, ফরাসি সুপার কাপ ও সবশেষ কিছুদিন আগে তারা ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উঁচিয়ে ধরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি।
নিজ নিজ দলে দুজনই ছিলেন দলের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ, ধারাবাহিকভাবে অবদান রাখেন দলের প্রতিটি সাফল্যে।
ম্যাচের পর ইয়ামালের কাছেও একই বিষয়ে প্রশ্ন ছুটে যায়। তিনি অবশ্য সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি।
“আমি মাকে সবসময় একই কথা বলি যে, আমি আমার সবটুকু দেওয়ার চেষ্টা করব। এটাই আমাকে প্রেরণা জোগায়…একারণেই আমি ফুটবল খেলি। মাঠে কথা বলাই (পারফরম্যান্সে জবাব দেওয়া) সবচেয়ে ভালো।”
“দেম্বেলে দারুণ খেলোয়াড়, চ্যাম্পিয়ন্স লিগে আমরা তা দেখেছি। তবে আমি খুশি যে, এখানে আমরা ফাইনালে উঠেছি।”
আগামী রোববার মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় নেশন্স লিগের শিরোপা লড়াইয়ে প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের মুখোমুখি হবে ২০২৪ ইউরো জয়ী স্পেন।