এশিয়ান কাপ বাছাই
Published : 05 Jun 2025, 07:18 PM
মানের দিক থেকে হামজা চৌধুরী আলাদা- দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলারদের সঙ্গে এই ইংল্যান্ড প্রবাসীর তুলনা এভাবেই টানেন ভুটান কোচ আতসুশি নাকামুরা। মনের দিক থেকে কেমন? উত্তর পাওয়া গেল সোহেল রানার কাছ থেকে। বাংলাদেশের এই মিডফিল্ডার আরও বললেন, হামজার কাছ থেকে সবসময়ই শিখছেন তারা।
ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার ভুটানের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে দলকে শুরুতেই এগিয়ে নেন হামজা। যার মূল কাজ রক্ষণে সাহায্য করার পাশাপাশি আক্রমণের সুর বেঁধে দেওয়া। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দারুণ ভলি করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আরেক মিডফিল্ডার সোহেল।
আগামী মঙ্গলবার এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হবে দল।
নিশ্চিতভাবে আসছে ম্যাচেও বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীরা প্রবল আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে থাকবেন হামজার দিকে। তিনি লাল-সবুজের জার্সি গায়ে তোলার পর থেকে চারদিকে তৈরি হয়েছে বাড়তি উন্মাদনা। তৈরি হয়েছে অনেক কৌতুহল।
ফুটবলার হিসেবে হামজা কেমন, তা কারো অজানা নয়। কিন্তু মানুষ হিসেবে তিনি কেমন? সতীর্থ হিসেবে কেমন? হামজার সাথে কতটা মানিয়ে নিতে পারছে সাদ-ইব্রাহিমের মতো স্থানীয়রা? তার কাছে থেকে কী টিপস পাচ্ছে? কতটা শিখছে?-এমন অনেক প্রশ্ন। সোহেল বললেন, প্রতিটি মুহূর্তেই হামজার কাছ থেকে শিখছেন তারা।
“টিপস দেয়ার মত বিষয় নয়, আমরা সবসময় হামজার কাছ থেকে শিখি, যতক্ষণ ওর সাথে থাকি, আমরা শিখি। ও গোল করার পর আমরা প্রতিটা খেলোয়াড় উদযাপন করেছি ওর সাথে, যেটা ওর খুব ভালো লেগেছে, এটা ওর কাছে জানতে চাইলেও আপনারা একই কথা জানতে পারবেন।”
“সবাই খুব খোলা মনে হামজার সাথে মিশে। ও খুব খোলা মনের মানুষ। আমাদের তো মনে হয় না, ও দেশের বাইরে থেকে এসেছে। মনে হয়, ও আমাদের বাংলাদেশের ছেলে, ওকে আমাদের কাছে প্রবাসী মনে হয় না, মনে হয় ও আমাদের দেশেরই।”
কেবল হামজা নয়, বর্তমান দলে যোগ দেওয়া আরও দুই প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলাম খেলেছেন ভুটান ম্যাচ। শোমিত সোমের এখনও মাঠে নামা হয়নি। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেই অভিষেক হতে পারে কানাডা লিগে খেলা এই মিডফিল্ডারের। সেক্ষেত্রে ভুটান ম্যাচে গোল পাওয়া সোহেলেরও মাঝমাঠে জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে উঠবে।
তবে, আপাতত এসব নয়, সোহেলের ভাবনা আনন্দ, উৎসবের রেশ সিঙ্গাপুর ম্যাচে টেনে নেওয়া।
“প্রতিটি ম্যাচ জয়ের পর ড্রেসিং রুমের সবাই খুশি থাকে, কালও একই বিষয় ছিল। বিশেষ করে যেহেতু হামজা দেশের মাঠে প্রথম খেলেছে, প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়েছে, এতে খেলোয়াড়দের সবার মধ্যে বাড়তি আনন্দ কাজ করেছে। এই আনন্দ আমরা ভবিষ্যতেও ধরে রাখার চেষ্টা করব। জিতলে ড্রেসিং রুমে যে আনন্দের আবহ থাকে, সেটা ধরে রাখার চেষ্টা করব।”