Published : 26 May 2025, 10:36 PM
শেষ রাউন্ডে দারুণ জয়ে নাপোলির সেরি আ শিরোপা পুনরুদ্ধার, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার জমজমাট লড়াই, চোখে জল ও মুখে হাসি নিয়ে সান্তিয়াগো বের্নাবেউকে কার্লো আনচেলত্তি ও লুকা মদ্রিচের বিদায় কিংবা বড় জয়ে বার্সেলোনার শেষটা রাঙানো- ফুটবলের অসাধারণ এক সপ্তাহান্ত দিয়ে শেষ হয়েছে ২০২৪-২৫ ইউরোপীয় ঘরোয়া মৌসুম। তাতে রেকর্ড বইয়েও যোগ হয়েছে নতুন নতুন রেকর্ড আর কীর্তি।
তেমনই কিছু তথ্য-উপাত্ত নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের পাঠকদের জন্য এই আয়োজন।
লা লিগা
৪৩
রেয়াল মাদ্রিদের হয়ে অভিষেক মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৩ গোল করেছেন কিলিয়ান এমবাপে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। তার পেছনে আছেন বার্সেলোনার রবের্ত লেভানদোভস্কি (৪২) ও বায়ার্ন মিউনিখের হ্যারি কেইন (৩৮)। ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর বাইরে সর্বোচ্চ ৫৪ গোল করেছেন স্পোর্তিং লিসবনের স্ট্রাইকার ভিক্তর ইয়োকেরেস।
৩১
এবার লা লিগার সর্বোচ্চ স্কোরার এমবাপের গোল ৩১টি। স্পেনের শীর্ষ লিগের ইতিহাসে স্রেফ চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক আসরে ৩০ বা এর বেশি গোল করার কীর্তি গড়েছেন তিনি। আগের তিন জন প্রুহেন (১৯৪০-৪১ মৌসুমে ৩৩ গোল), রোমারিও (১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে ৩০ গোল) ও রোনালদো নাজারিও (১৯৯৬-৯৭ মৌসুমে ৩৪ গোল)।
৪
লা লিগার এক আসরে ৩০ বা এর বেশি গোল করা রেয়াল মাদ্রিদের চতুর্থ খেলোয়াড় এমবাপে। আগের তিন জন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (৬ বার), উগো সানচেস (২ বার) ও আলফ্রেদো দি স্তেফানো (১ বার)।
আলো ঝলমলে পারফরম্যান্সে প্রথমবারের মতো ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতেছেন এমবাপে। ২০০৪-০৫ মৌসুমে থিয়েরি অঁরির পর প্রথম ফরাসি ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর পর প্রথম রেয়াল মাদ্রিদ খেলোয়াড় হিসেবে পুরস্কারটি জিতলেন তিনি।
১
রেয়াল মাদ্রিদের সফলতম কোচ হিসেবে বের্নাবেউ ছেড়ে গেলেন কার্লো আনচেলত্তি।
সর্বোচ্চ ট্রফি: ১৫
সর্বোচ্চ ম্যাচ: ৩৫৩
সর্বোচ্চ জয়: ২৫০
সর্বোচ্চ জয়ের শতকরা হার: (অন্তত ৫০ ম্যাচে) ৭১ শতাংশ
১০১
লা লিগার শেষ রাউন্ডে জোড়া গোল করে বার্সেলোনার জার্সিতে রবের্ত লেভানদোভস্কির মোট গোল হয়েছে ১০১টি। তিনটি ভিন্ন ক্লাবের হয়ে গোলের তিন অঙ্ক স্পর্শ করলেন পোলিশ তারকা। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে তার গোল ৩৪৪টি, বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে ১০৩টি।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
৪৭
রোববার শেষ রাউন্ডে জালের দেখা পেয়ে ৪২ ম্যাচের প্রিমিয়ার লিগে এক আসরে সবচেয়ে বেশি গোলে সম্পৃক্ত (গোল ও অ্যাসিস্ট) থাকার রেকর্ড স্পর্শ করেছেন মোহামেদ সালাহ, ৪৭টি। দুই গ্রেট অ্যান্ড্রু কোল (১৯৯৩-৯৪ মৌসুম) ও অ্যালান শিয়েরারের (১৯৯৪-৯৫ মৌসুম) পাশে বসেছেন লিভারপুলের মিশরীয় তারকা।
৪
এবার লিগে ২৯ গোল করে চতুর্থবারের মতো সালাহ জিতেছেন গোল্ডেন বুট, স্পর্শ করেছেন আর্সেনালের সাবেক তারকা অঁরির রেকর্ড।
৪২
এবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মধ্যে ব্যবধান ৪২ পয়েন্টের, দেশটির শীর্ষ লিগে এই দুই দলের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ব্যবধান এটি।
১০১
এই মৌসুমে লিগে আর্সেনালের কোনো খেলোয়াড়ের গোল সংখ্যা দুই অঙ্ক স্পর্শ করেনি। সবশেষ তাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল ১০১ বছর আগে, ১৯২৩-২৪ মৌসুমে। এবার তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৯ গোল করেন কাই হাভার্টজ।
২২
এবার লিগে ২২ ম্যাচ হেরেছে টটেনহ্যাম হটস্পার, ৩৮ ম্যাচের প্রিমিয়ার লিগে অবনমিত না হয়েও এক আসরে সর্বোচ্চ হার এটি।
অবনমন অঞ্চলের ঠিক ওপরে, ১৭ নম্বরে থেকে লিগ শেষ করেছে দলটি। তবে ইউরোপা লিগ জিতে তারা জায়গা করে নিয়েছে আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।
সেরি আ
৪
এই নিয়ে চতুর্থবার ইতালির শীর্ষ লিগ সেরি আর শিরোপা জিতল নাপোলি। ৩২ বছরের খরা কাটিয়ে ২০২২-২৩ মৌসুমে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। ফলে তিন মৌসুমের মধ্যে জিতল দুটি।
৪
নাপোলির দায়িত্ব নিয়ে প্রথম মৌসুমেই লিগ জিতলেন আন্তোনিও কন্তে। প্রথমবারের মতো ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে চার জন কোচ নিজ নিজ ক্লাবে তাদের প্রথম মৌসুমে লিগ শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন। অন্য তিন জন- লিভারপুলের হয়ে আর্না স্লট, বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে ভিনসেন্ট কোম্পানি ও বার্সেলোনার হয়ে হান্সি ফ্লিক।