নারী ফুটবল
Published : 13 Feb 2025, 03:58 PM
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) একুশে পদকের জন্য পাঠিয়েছিল ৩২ জনের তালিকা। সেখানে ২০২৪ সালের উইমেন’স সাফ জয়ী দলের কোচ, খেলোয়াড় এবং টিম স্টাফদের বিবেচনায় নেয় বাফুফে। অর্থাৎ এই তালিকায় উপেক্ষিত হয়েছে, ২০২২ সালে দেশকে প্রথমবারের মতো উইমেন’স সাফ শিরোপা এনে দেওয়া দলের কোচ, খেলোয়াড়, টিম স্টাফসহ অনেকেই!
আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি একুশে পদক তুলে দেওয়া হবে ২০২৪ সাফ জয়ী নারী দলকে। কিন্তু গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় নেপালের বিপক্ষে ফাইনালে শুরুর একাদশে খেলা ১১ জনকে এই স্বীকৃতি দিতে চায়। কিন্তু বাফুফের চাওয়া ২০২৪ সালের দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোচ, খেলোয়াড়, স্টাফসহ ৩২ জনকেই দেওয়া হোক এই স্বীকৃতি।
এ বিষয়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক গণমাধ্যমকে বলেছেন, “আমরা শুরুতে ৩২ জনের তালিকা পাঠালে তা কমিয়ে ১১ জন ফুটবলারের নাম দিতে বলা হয়েছিল। তবে আমরা মনে করি সাফ জেতার পেছনে পুরো টিম কন্টিনজেন্টের অবদান রয়েছে। কোচ-খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা সবার সম্মিলিত প্রয়াসে সাফল্য এসেছে। তাই আবারও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে নতুন করে তালিকা পাঠিয়েছি।”
কথা থেকে যায় এখানেও। ২০২৪ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরের মুকুট ধরে রাখে বাংলাদেশ, কিন্তু সেরা সাফল্য এসেছিল তারও দুই বছর আগে, কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের হাত ধরে। দীর্ঘদিনের সাফল্য খরার গেরো যাদের শ্রমে-ঘামে-পারফরম্যান্সে জুটেছিল, তাদের মধ্যে ৯ খেলোয়াড় সবশেষ সাফ জয়ী দলে ছিলেন না। ছিলেন না টিম স্টাফদের মধ্যে অনেকেও।
প্রথম উইমেন’স সাফ জয়ী কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তার হতাশা-আক্ষেপ যেন ছোট এক শব্দেই বলে দিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।
“নো কমেন্টস। কর্তৃপক্ষ যা ভালো মনে করেছে…”