Published : 05 Aug 2024, 05:25 PM
অনলাইনে গেলেই ব্যবহারকারীর সামনে এমন সব ছবি, নিবন্ধ, লিংক ও ভিডিও চলে আসে, যেগুলো একেকটি গল্প বলার চেষ্টা করে। দুর্ভাগ্যবশত, এর মধ্যে সব গল্পই আসল, বিষয়টি এমন নয়।
কখনও কখনও কিছু সাইট একটি নিবন্ধ থেকে নিজস্ব সাইটের অন্যান্য নিবন্ধ বা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার প্রলোভন দেখায়। আর রাজনৈতিক কারণে মানুষকে হতাশ করাও লক্ষ্য থাকে এইসব সাইটের। তাই এখন তথ্য শেয়ার করার বিষয়টিও জটিল হয়ে উঠেছে।
এইসব গল্প খুব দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ে। তবে, পরবর্তীতে গিয়ে দেখা যায়, সেগুলো আসলে ‘ফেক নিউজ’ বা ভুয়া সংবাদ ছিল। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই এ ধরনের ভুয়া সংবাদ শনাক্ত করার কয়েকটি ধাপ নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।
● সংবাদের উৎস যাচাই
সংবাদ নিবন্ধ কোন ওয়েবসাইট থেকে এসেছে, তা যাচাই করতে হবে। এটি কী দেখতে আসল? এর লেখনী কি ভালো? এতে অন্যান্য ধরনের সংবাদ আছে বা এটাই সাইটের একমাত্র সংবাদ কি না? নিজেকে এইসব প্রশ্ন করতে হবে কারণ অনেক সময় ফেক নিউজ সাইটগুলো এমন ওয়েব অ্যাড্রেস ব্যবহার করে, যা আসল সংবাদপত্রের কোনো সাইটের মতোই শোনায়।
এক্ষেত্রে ব্যবহারকারী দ্বিধাবোধ করলে সাইটের ‘অ্যাবাউট’ পেইজে ক্লিক করে এতে প্রতিষ্ঠানের স্পষ্ট বর্ণনা উল্লেখ আছে কি না, সে বিষয়টি যাচাই করতে হবে।
● ভুয়া ছবি শনাক্ত করা
অনেক ভুয়া সংবাদেই ফটোশপ করা বা অপ্রাসঙ্গিক কোনো সাইট থেকে ছবি নেওয়া হয়। তবে ছবিতে সুক্ষ্মভাবে দেখলে বোঝা যায়, এতে কোনো পরিবর্তন এসেছে কি না। অথবা এর পরিবর্তে ‘গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ’ ফিচার ব্যবহার করলে দেখা যাবে, একই ছবি অন্য কোনো ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে কি না।
● একই সংবাদ অন্যান্য সাইটে আছে কি না, চেক করুন
ব্যবহারকারীর পড়তে চাওয়া সংবাদ নিবন্ধ অন্য কোনো বিশ্বাসযোগ্য সংবাদ সাইটে এসেছে কি না, তা যাচাই করে দেখতে হবে। ফলে, সংবাদটি আসল না নকল, সে বিষয়টি বোঝা যাবে। কারণ শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো কোনো নিবন্ধ প্রকাশ করার আগে এর সত্যতা যাচাই করে থাকে।
● অন্যান্য উপায়
ফেক নিউজ যাচাই করার অন্যান্য কৌশলও আছে। এর মধ্যে রয়েছে সকল শব্দে বড় হাতের অক্ষর ব্যবহার ও লিংকে ক্লিক করার পর অনেক বিজ্ঞাপন পপ-আপ করার মতো বিষয়গুলো। এ ছাড়া, সংবাদটি ব্যবহারকারীর মনে কী ধরনের অনুভূতির সঞ্চার ঘটায়, সে বিষয়টি যাচাই করাও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসেবে, কোনো সংবাদ পড়ে রাগ উঠলে তা সে লক্ষ্যেই নকশা করা হয়েছিল, এমন হতে পারে।
অনলাইনের সংবাদ যাচাই করার বেলায় দৈনন্দিন জীবনে এ পন্থাগুলো অনুসরণ করলে ব্যবহারকারী নিজের সংবাদ পড়ার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।