Published : 28 Jan 2024, 05:05 PM
২০২২ সালে রকেট ইঞ্জিনের ত্রুটির ফলে মাথার খুলি ভেঙে গিয়েছিল এক কর্মীর। এবার ওই কর্মীর পরিবারের মামলায় অবহেলার অভিযোগে পড়েছে ইলন মাস্ক মালিকানাধীন বাণিজ্যিক রকেট কোম্পানি স্পেসএক্স।
ফ্রান্সিসকো কাবাডা নামের ওই কর্মীর স্ত্রী ইডি গত সপ্তাহেই মার্কিন অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার শহর লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি আদালতে স্বামীর পক্ষে মামলাটি দায়ের করেন। দুর্ঘটনার দুই বছরেরও বেশি সময় পরে এখনো কোমায় রয়েছেন কাবাডা। মামলাটি আগে প্রকাশ হয়নি বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
গত বছরের শেষের দিকে স্পেসএক্স নিয়ে রয়টার্সের তদন্তে অন্যান্য কর্মীদের আঘাতের পাশাপাশি কাবাডার দুর্ঘটনাটিও উঠে এসেছিল। ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি।
এর আগে স্পেসএক্সের বিভিন্ন কারখানায় কমপক্ষে ছয়শ’টি আঘাতের ঘটনার তালিকা করেছে রয়টার্স যেগুলো অপ্রকাশিত ছিল। এর মধ্যে একটি মৃত্যুসহ রয়েছে হাড় ভাঙ্গা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া, মাথায় আঘাত পাওয়ার মতো সব ঘটনা। গেল নভেম্বরের এ নথি প্রসঙ্গেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি কোম্পানিটি।
স্পেসএক্স এ মামলার বিষয়ে রয়টার্সেরে প্রশ্নের উত্তর দেয়নি।
ইডি কাবাডার আইনজীবী, মাইকেল র্যান্ডও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন।
ক্যালিফোর্নিয়ার শহর হথর্নে স্পেসএক্স কারখানায় চাপ পরীক্ষার সময় একটি ‘র্যাপটর ভি২’ ইঞ্জিনের অংশ ভেঙে গেলে কাবাডা আহত হন। ইঞ্জিনের অংশ স্পেসএক্স টেকনিশিয়ানের মাথায় ঢুকে গেলে তার মাথার খুলি ভেঙে যায়।
দুর্ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্পেসএক্সের সাবেক কর্মচারীরা রয়টার্সকে বলেছেন ঘটনাটি স্পেসএক্সের পদ্ধতিগত সমস্যাকেই তুলে ধরেছে।
হথর্ন কারখানার জ্যেষ্ঠ পরিচালকদের ইঞ্জিন উন্নয়ন নিয়ে তাড়াহুড়ো করার বিপদ, পাশাপাশি কর্মীদের অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও উপাদানগুলোর পরীক্ষা সম্পর্কে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্ররা রয়টার্সকে জানিয়েছে।
যে অংশটি ভেঙে গিয়ে কর্মীকে আঘাত করেছিল সেটি ত্রুটিপূর্ণ ছিল, যা পরীক্ষার আগে আবিষ্কৃত হলেও সংশোধন করা হয়নি – বলেন কর্মীরা।
কর্মীদের আঘাতের বিষয়ে রয়টার্সের তদন্ত সম্পর্কে স্পেসএক্স কোনো মন্তব্য করেনি, এবং কাবাডার ঘটনাটি নিয়েও বিস্তারিত প্রশ্নের কোনো প্রতিক্রিয়া ছিল না তাদের কাছে।
ইউএস ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (নাসা) স্পেসএক্সকে বেসরকারি মহাকাশ কোম্পানি হিসাবে এক হাজার ১৮০ কোটি ডলার দিয়েছে। মামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি সংস্থাটি।
স্পেসএক্সের ‘র্যাপটর’ ইঞ্জিনগুলো ‘স্টারশিপ’ রকেটের চালিকা শক্তি। এটি কোম্পানির পরবর্তী প্রজন্মের রকেট যা মহাকাশে স্যাটেলাইট ও মানুষ পাঠানোর জন্য নকশা করা হয়েছে। এই দশকের কোনো এক সময় চাঁদে মানুষ পাঠাতে এই রকেট ব্যবহার করার পরিকল্পনা করেছে নাসা।