Published : 12 Feb 2025, 03:32 PM
নতুন বিটস ইয়ারফোন বাজারে এনেছে অ্যাপল। এটি ব্যবহারকারীর কানের ভেতর থেকেও তাদের হৃদস্পন্দন পড়তে পারে বলে দাবি কোম্পানিটির।
২০১৯ সালের পর এই প্রথম বিটস ইয়ারফোনের উন্নত সংস্করণ বাজারে আনল কুপারটিনোভিত্তিক এই মার্কিন কোম্পানিটি। ইয়ারফোনটির বাইরের দিকে নতুন ডিজাইনের পাশাপাশি ভেতরেও নতুন ফিচার যোগ করেছে অ্যাপল।
এসব ইয়ারফোন বেশ হালকা ও ব্যবহারকারীদের কানে আটকে রাখার জন্য নতুন একটি ইয়ারহুক রয়েছে এগুলোতে। আরও ভাল সাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য এতে অ্যাপল নতুন ডিজাইন যোগ করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
মঙ্গলবার বাজারে আসা এসব ইয়ারফোনের দাম ২৪৯.৯৫ ইউরো। এগুলো কালো, স্যান্ড, বেগুনি ও কমলা এই চারটি রঙে বাজারে এনেছে অ্যাপল।
নতুন পাওয়ারবিটস প্রো-এর ভেতরের দিকটি অ্যাপলের সর্বশেষ এয়ারপডস প্রো-এর মতোই। যেমন– এয়ারপডের মতো এগুলোতেও একই রকম ‘নয়েজ ক্যান্সেলিং’ ও ‘ভয়েস’ ফিচার রয়েছে। কেস বা যে বক্সে এগুলো বসানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে সেখানেও এয়ারপডের মতো রয়েছে একই রকম তারবিহীন চার্জিং ফিচার।
পাওয়ারবিটস প্রো ২ অন্যান্য প্রিমিয়াম অ্যাপল ইয়ারফোন থেকে আলাদা। এর মূল কারণ এগুলো ব্যবহারকারীদের ফিটনেসের বিষয়টি মাথায় রেখে তৈরি করেছে অ্যাপল।
কোম্পানিটির দাবি, এসব ইয়ারফোনের মধ্যে রয়েছে ইয়ারহুক ডিজাইন, যা এগুলোকে এখন পর্যন্ত বিটস-এর তৈরি সেরা ফিটিং ইয়ারফোন হিসেবে পরিণত করেছে।
নতুন ইয়ারফোনের ফিটনেস ফিচারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘হার্ট রেট মনিটরিং’ টুল। এর মাধ্যমে ইয়ারফোনটি নিজে থেকেই ব্যবহারকারীর হৃদস্পন্দন মাপতে পারে।
অ্যাপল বলেছে, এতে ছোট এলইডি ও সেন্সর যুক্ত করার ফলে এগুলো ব্যবহারকারীর কানের মাধ্যমে হৃদস্পন্দন পড়তে পারে, যার ফলে এসব ইয়ারফোন যারা ব্যবহার করবেন তারা নির্ভুল তথ্য পাবেন।
বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা বা ব্যায়াম করার সময় এসব ইয়ারফোন ব্যবহার করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা, যা তাদের যে কোনো কাজ করার পাশাপাশি হৃদস্পন্দনের হারও জানতে সাহায্য করবে।
এবারই প্রথম অ্যাপলের ইয়ারফোনে এ ধরনের ফিচার আনল। এর আগে কেবল অ্যাপল ওয়াচে এ ধরনের ‘হার্ট রেট মনিটরিং’ ফিচার এনেছিল মার্কিন আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি। তবে ব্যবহারকারীরা চাইলে এ দুটো ডিভাইস একসঙ্গে পরতে পারেন, এতে করে তথ্যে গড়মিল হবে না বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট।
এসব ইয়ারফোনের পাশাপাশি এগুলোর চার্জিং কেসটিও আগের চেয়ে পাতলা করেছে অ্যাপল। ফলে এর পূর্বসূরীর চেয়ে এসব নতুন ইয়ারফোন আকারে ৩৩ শতাংশ ছোট।
নতুন ইয়ারফোনের ব্যাটারিও উন্নত করেছে অ্যাপল। একবার চার্জে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে প্রতিটি ইয়ারফোন, যা এর আগের সংস্করণ থেকে এক ঘণ্টা বেশি। এমনকি কেসে রেখে ব্যবহার করলে ৪৫ ঘন্টা পর্যন্ত চার্জ থাকবে এসব ইয়ারফোনের।
২০১৪ সালে তিনশ ২০ কোটি ডলারে বিটসকে কিনে নেয় অ্যাপল, যা ছিল অ্যাপলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামী ক্রয়। হেডফোনে গান শোনার ক্ষেত্রে সংগীতপ্রেমীদের কাছে ব্র্যান্ড হিসেবে বোস বা সিনাইজারের মতো বিটসও প্রথম সারির বলে বিবেচিত হয়।