Published : 10 May 2025, 05:36 PM
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করে প্রাণীদের শব্দকে মানুষের ভাষায় অনুবাদ করা সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখছে এক চীনা প্রযুক্তি কোম্পানি।
চীনের সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন বাইদু বলেছে, প্রাণীদের শব্দ মানুষের ভাষায় রূপান্তরের প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করতে একটি পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছে তারা।
এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক পেটেন্ট নথি থেকে এ পরিকল্পনার কথা জানা গিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
এ পেটেন্ট সিস্টেমটি প্রাণীদের শব্দ, আচরণ ও শারীরিক সংকেতের মতো ডেটা সংগ্রহ করবে। এরপর এসব তথ্য প্রক্রিয়া করে তা একসঙ্গে মেলাবেন গবেষকরা। তারপর এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাণীর আবেগের অবস্থান চিহ্নিত করবেন তারা।
নথিতে বাইদু বলেছে, প্রাণীদের এসব আবেগ সংশ্লিষ্ট বিষয় পরে মানুষের ভাষায় অনুবাদ করা যেতে পারে এবং এটি “ভিন্ন প্রজাতির মধ্যে যোগাযোগের নির্ভুলতা ও সক্ষমতা” বাড়াতেও সাহায্য করতে পারে।
বাইদুর একজন মুখপাত্র বলেছেন, এ অনুবাদের বিষয়টি এখনও “গবেষণার পর্যায়ে” রয়েছে। তবে এই পেটেন্ট দাখিলের পর থেকে এ নিয়ে “অনেক আগ্রহ” দেখা গিয়েছে।
প্রাণীদের ভাষা অনুবাদের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও প্রযুক্তির অগ্রগতি সম্প্রতি এটিকে আরও সম্ভব করে তুলছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে স্কাই নিউজ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই এমন ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, কুকুররা ছয়কোণা বোর্ডে থাকা বোতাম চাপ দিয়ে তাদের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। এ বিষয়টিকে বলা হচ্ছে ‘অগমেন্টেটিভ অ্যান্ড অল্টারনেটিভ কমিউনিকেশন’ বা এএসি বোর্ড।
এসব কুকুর আসলেই যোগাযোগ করছে কি না তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে এবং এ বিতর্কটি মীমাংসা করতে দুই হাজার কুকুর নিয়ে একটি গবেষণা চালাচ্ছেন ইউসি সান ডিয়েগোর বিজ্ঞানীরা।
পোষা প্রাণীদের ভাষা বুঝতে নতুন এক উপায় দিতে পারে বাইদুর এ নতুন এআইনির্ভর পদ্ধতিটি। তবে চীনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই এখনও এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
ওয়েইবোতে এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “শুনতে যতই দারুণ লাগুক না কেন বাস্তবে এটা কেমন কাজ করে সেটাই দেখার বিষয়।”