Published : 14 Jun 2025, 06:04 PM
ফোনের কর্মক্ষমতা সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে কমে যেতেই পারে, তবে তার মানে এই নয় যে এখনই নতুন ফোন কেনার দরকার পড়বে। কিছু সাধারণ পরিবর্তনের মাধ্যমে পুরনো ফোনকেও আবার আগের মতো ফিট করে তোলা যায়।
আপনার ফোনে থাকা জীবাণুর পরিমাণ টয়লেট সিট থেকেও বেশি হতে পারে। তাই শুধু সফটওয়্যার নয়, হার্ডওয়্যারকেও নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি।
এরপর আসা যাক ফোনের স্পিড বাড়ানোর মূল কৌশলগুলোয়, যা মূলত ফোনের অ্যাপ ও সেটিং ঘিরেই।
ফেলে রাখা অ্যাপগুলো মুছে ফেলুন
হোম স্ক্রিন বা অ্যাপ ড্রয়ারে গিয়ে একবার চোখ বুলিয়ে নিন যেসব অ্যাপ আপনি আর ব্যবহার করেন না, সেগুলো ডিলিট করুন। পুরনো অ্যাপগুলো শুধু স্টোরেজ দখল করে রাখে না, বরং কখনো কখনো অপ্রয়োজনীয় অনুমতিও নিয়ে রাখে যেগুলো আপনার প্রাইভেসির জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
ফোনভেদে অ্যাপ ডিলিট করার পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। সাধারণত অ্যাপ আইকনে লং প্রেস করলে ‘আনইনস্টল’ অপশন চলে আসে। যদি না আসে, ফোন নির্মাতার আলাদা নির্দেশনা দেখে নিতে পারেন।
অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে স্টোরেজ খালি করুন
অ্যাপের পর এবার নজর দিন ফাইলের দিকে। ডাউনলোড ফোল্ডারে গিয়ে দেখুন পুরনো কোনো মেনু, মিম, বা ছবি এখনো জমে আছে কি না। এসব অপ্রয়োজনীয় ফাইল সহজেই সরিয়ে ফেলা যায়।
এর জন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোনের ডিফল্ট ‘ফাইল অ্যাপ’ ব্যবহার করতে পারেন। নাম একটু ভিন্ন হতে পারে স্যামসাংয়ে ‘মাই ফাইল’, গুগল পিক্সেলে ‘ফাইল’, ওয়ানপ্লাসে ‘ফাইল ম্যানেজার’ তবে কাজ একই। বিশেষ করে ডাউনলোড ফোল্ডারটা খুঁজে দেখুন। বড় ফাইলগুলো আলাদা করে দেখারও অপশন থাকে অনেক ফোনে।
হোম স্ক্রিন কাস্টমাইজ করে দিন নতুন লুক
অ্যান্ড্রয়েডের সবচেয়ে বড় সুবিধাগুলোর একটি হলো আপনি নিজের মতো করে পুরো ফোনের লুক বদলে নিতে পারেন। নতুন লঞ্চার, আইকন প্যাক ইত্যাদি ইনস্টল না করেও হোম স্ক্রিন সেটিং-এ সামান্য কিছু পরিবর্তন আপনার ফোনকে অনেকটা নতুন লাগাতে পারে।
খালি জায়গায় লং প্রেস করুন, তারপর ‘হোম সেটিং’-এ ঢুকে অ্যাপ গ্রিডের মাপ (যেমন ৪x৫ থেকে ৫x৫) পাল্টে দেখুন। চাইলে হোম স্ক্রিনে নিচ থেকে সোয়াইপ করে নোটিফিকেশন আসার মতো সুবিধাও চালু করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় সেটিং বদলে নিন এখনই
এখনই সময় ফোনের বিভিন্ন সেটিং দেখে নিজের পছন্দমতো কাস্টমাইজ করে নেওয়ার। যেমন: ডার্ক মোড চালু করলে শুধু চোখের আরামই নয়, ব্যাটারির সাশ্রয়ও হয়। কিংবা নতুন অ্যাপ ইনস্টল হলেই হোম স্ক্রিনে আইকন চলে আসা বন্ধ করে দিতে পারেন সহজেই।
প্রাইভেসি সেটিংস একবার দেখে নিন
সবশেষে একবার যাচাই করে নিন কোন অ্যাপ কোন ডেটায় অ্যাক্সেস পাচ্ছে।
সেটিংস > প্রাইভেসি > পার্মিশন ম্যানেজার-এ গিয়ে লোকেশন, ক্যামেরা, কনট্যাক্ট ইত্যাদিতে কোন অ্যাপ অনুমতি পেয়েছে তা দেখে প্রয়োজন না থাকলে বন্ধ করে দিন।
সি-নেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী কম সময়েই এই কাজগুলো করে ফোনের পারফরম্যান্স যেমন বাড়বে, তেমনি ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।