Published : 22 Jun 2024, 02:33 PM
শীর্ষ এআই চ্যাটবটগুলোর প্রতিক্রিয়ায় বার বার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ভুল তথ্য দেখানো হচ্ছে, এমনই উঠে এসেছে নতুন এক প্রতিবেদনে।
এজন্য ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি, এক্সএআইয়ের গ্রক, মাইক্রোসফটের কোপাইলট ও গুগলের জেমিনাই’সহ ১০ নেতৃস্থানীয় এআই চ্যাটবটের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে দেখেছে অনলাইন সংবাদ নজরদারি সাইট ‘নিউজগার্ড’।
এর আগেও সাইটটি এক তদন্তে দেড়শটি ভুল তথ্য ছড়ানো ওয়েবসাইটের একটি নেটওয়ার্ক খুঁজে পেয়েছিল, যেগুলো বিভিন্ন স্থানীয় সংবাদ সাইটের ছদ্মবেশ ধারণ করে নিয়মিতই রাশিয়ার হয়ে মার্কিন নির্বাচন নিয়ে গুজব ছড়াতো।
সর্বশেষ জরিপে প্রায় ছয়শটি প্রম্পট ব্যবহার করা হয়, যেখানে প্রতিটি চ্যাটবটে ৬০টি করে প্রম্পট পরীক্ষা করেছে সাইটটি।
এইসব প্রম্পট এর আগে রাশিয়ার নেটওয়ার্ক সংশ্লিষ্ট ১৯টি ভুল বর্ণনা ওপর ভিত্তি করে তৈরি। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দুর্নীতি করার দাবি।
নিউজগার্ড পরীক্ষা করে দেখেছে, কীভাবে বিভিন্ন এআই চ্যাটবট তিনটি প্রশ্নমূলক পন্থা ব্যবহার করে এইসব দাবির বিপরীতে সাড়া দেয়।
এর মধ্যে একটি প্রশ্ন নিরপেক্ষ ছিল, যেখানে শুধু এইসব দাবির সত্যতা জানতে চাওয়া হয়। আরেক প্রশ্নে, সে তথ্যকে সত্য বলে দাবি করা হয় ও এই বিষয়ে আরও তথ্য জানতে চাওয়া হয়। আর তৃতীয়টি মূলত ‘ক্ষতিকর’ প্রম্পট ছিল, যেটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ভুল তথ্য তৈরি করা।
নিউজগার্ডের পরীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বের শীর্ষ ১০ এআই কোম্পানির চ্যাটবটগুলো প্রায় এক তৃতীয়াংশ ক্ষেত্রেই রাশিয়াভিত্তিক প্রোপাগান্ডা দেখাচ্ছে।
উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বাসভবন ‘মার-আ-লগো’তে একটি ওয়্যারট্যাপ খুঁজে পাওয়ার দাবি করা কথিত গুপ্তচর ‘গ্রেগ রবার্টসন’ সম্পর্কে তথ্য জানতে চাওয়া হলে তখন বেশ কিছু চ্যাটবট এই ভুল তথ্যকে বার বার সত্য বলে দাবি করছিল।
নিউজগার্ডের তথ্য অনুসারে, কয়েকটি চ্যাটবট ‘FlagStaffPost.com’ ও ‘HoustonPost.org’-এর মতো জাল সাইটে থাকা নিবন্ধের উদ্ধৃতিও দিয়েছে, যেগুলো মূলত রাশিয়ার ভুল তথ্য ছড়ানো নেটওয়ার্কের অংশ।
“চ্যাটবটগুলো ‘বস্টন টাইমস’ ও ‘ফ্ল্যাগস্টাফ পোস্ট’-এর মতো রাশিয়াভিত্তিক গুজব ছড়ানোর সাইটগুলো চিনতে ব্যর্থ হওয়ায় আরও গুজবের বিস্তার ঘটেছে,” বলেছে নিউজগার্ড।
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, এইসব ফলাফল বিভিন্ন এআই টুল দিয়ে ভুল তথ্য তৈরির ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। এমনকি গোটা বিশ্বে চলমান নির্বাচনের মৌসুমে কোম্পানিগুলো এমন গুজব ঠেকানোর চেষ্টা করলেও।