Published : 22 May 2025, 05:27 PM
ওপেনএআইয়ে যোগ দিয়েছেন আইফোন নির্মাতা কোম্পানি অ্যাপলের বিখ্যাত ডিজাইনার জনি আইভ।
চ্যাটজিপিটির নির্মাতা কোম্পানিটি এখন কেবল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইনির্ভর সফটওয়্যার নয় বরং হার্ডওয়্যার তৈরির দিকেও নজর দিচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
জনির তৈরি একটি স্টার্টআপ ছয়শ ৫০ কোটি ডলারে কিনেছে ওপেনএআই। এ স্টার্টআপটির ‘গুরুত্বপূর্ণ ডিজাইন ও সৃষ্টিশীল কাজের দায়িত্ব’ নেবেন জনি। এ দুটি কোম্পানি এক ঘোষণায় এমনটিই বলেছে। এ তথ্য প্রথম প্রকাশ করেছে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ওপেনএআইয়ের প্রধান স্যাম অল্টম্যান বলেছেন, তাদের লক্ষ্য হচ্ছে এআইকে মাথায় রেখে বিশেষভাবে তৈরি ‘ডিভাইসের এক পরিবার’ বানানো।
এ চুক্তি এমন সময়ে হচ্ছে, যখন প্রযুক্তি দুনিয়া আইফোনের মতো পরবর্তী বড় উদ্ভাবনের খোঁজে রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, অ্যাপল তাদের ডিভাইসে এআই আনার ক্ষেত্রে খুব ধীরে এগোচ্ছে। এ কারণে ওপেনএআইয়ের এই উদ্যোগ অ্যাপলকে কিছুটা টক্কর দেওয়ার জন্যও করা হচ্ছে বলে ধারণা তাদের।
এক ভিডিওতে অল্টম্যান বলেছেন, “আমি মনে করি, আমাদের সামনে এমন একটা সুযোগ আছে যেখানে কম্পিউটার ব্যবহারের ধারণাকে পুরোপুরি নতুনভাবে ভাবতে পারি আমরা।”
এ ঘোষণা আসার পর অ্যাপলের শেয়ারের দাম ২ শতাংশের বেশি কমে গিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
৩০ বছরেরও বেশি সময় অ্যাপলে কাজ করেছেন জনি। আইফোন ও আইপড’সহ অ্যাপলের যুগান্তকারী বিভিন্ন পণ্য তৈরিতেও কোম্পানিটিকে নতুন ‘জীবন’ দিয়েছেন তিনি।
তার করা নকশার স্বীকৃতি হিসাবে ২০১২ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইটহুড দেয়।
২০১৯ সালে অ্যাপল ছেড়ে নিজের কোম্পানি ‘লাভফ্রম’ প্রতিষ্ঠা করেন স্যার জনি, যেটি ‘এয়ারবিএনবি’ ও ‘মনক্লার’-এর মতো কোম্পানির সঙ্গে কাজ করেছে। ‘লাভফ্রম’ এখনও স্বাধীন হিসেবেই থাকবে।
ঘোষণা অনুসারে, গত বছর ‘আইও’ নামের যে স্টার্টআপটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জনি, সেই ধারণা এসেছে দুই কোম্পানির মধ্যে কয়েক বছর ধরে হওয়া নীরব সহযোগিতার ফলে।
“এটা স্পষ্ট যে, নতুন ধরনের পণ্য তৈরি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও উৎপাদনের জন্য আমাদের যে আকাঙ্ক্ষা, তাতে নতুন এক কোম্পানির প্রয়োজন ছিল।”
মার্কিন সংবাদমাধ্যম বলছে, বুধবারের ঘোষণার আগে স্টার্টআপটিতে ওপেনএআইয়ের শেয়ার ছিল ২৩ শতাংশ।
একীভূতকরণের ঘোষণা করা ভিডিওতে জনি বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন পৃথিবী “নতুন প্রযুক্তির এক প্রজন্মের প্রান্তে” দাঁড়িয়ে রয়েছে।
২০২২ সালে চ্যাটজিপিটি উন্মোচনের মাধ্যমে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় বিনিয়োগের এক জোয়ার তৈরি করেছিল ওপেনএআই। এরপর নতুন নতুন ক্ষেত্রে প্রবেশও অব্যাহত রেখেছে তারা। যেমন– শপিং এবং সার্চ, যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত প্রযুক্তি জায়ান্টদের চ্যালেঞ্জ করছে কোম্পানিটি।
ওপেনএআই হার্ডওয়্যার দুনিয়ায় এমন সময়ে প্রবেশ করছে যে সময় মেটা, গুগল ও অ্যাপলের মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানিও হেডসেট এবং চশমার মতো পণ্যে বিনিয়োগ করছে, কারণ এআইয়ে উন্নতির কারণে নতুন সুযোগ দেখতে পাচ্ছে তারা।