Published : 22 May 2025, 04:33 PM
উপসাগরীয় অঞ্চলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশে প্রতিযোগিতা দ্রুত বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আরবি ভাষার এআই মডেল চালু করল সংযুক্ত আরব আমিরাত।
তেল রপ্তানিকারক দেশটি বৈশ্বিক এআই খাতে নেতৃত্ব পেতে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে এ প্রযুক্তিতে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চাচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
গত সপ্তাহে দেশটিতে সফরে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে এআই চুক্তি হয়েছে, যা তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু উন্নতমানের এআই চিপ প্রযুক্তিতে প্রবেশের সুযোগ করে দেবে। এটি উপসাগরীয় কোনো দেশের জন্য বড় সাফল্য।
বুধবার চালু হওয়া আবু ধাবির ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি রিসার্চ কাউন্সিল’ বা এটিআরসি’র মাধ্যমে তৈরি ‘ফ্যালকন অ্যারাবিক’ নামের এ এআই মডেলটির লক্ষ্য হচ্ছে, আরব বিশ্বের ভাষাগত বৈচিত্র্যকে সম্পূর্ণভাবে ধারণ করা।
এক বিবৃতিতে এটিআরসি বলেছে, এ মডেলটি “উচ্চমানের দেশীয়, অর্থাৎ অনুবাদ নয় এমন, আরবি ডেটাসেট” ব্যবহার করে তৈরি করেছে এটিআরসি। মডেলটি নিজের চেয়ে ১০ গুণ বড় আকারের বিভিন্ন মডেলের সঙ্গেও কর্মদক্ষতায় পাল্লা দিতে পারবে।
এটিআরসি-এর মহাসচিব ফয়সাল আল বান্নাই বিবৃতিতে বলেছেন, “আজকের দিনে এআইয়ের নেতৃত্ব মানে কেবল আকারের দিক থেকে বড় হওয়া নয়, বরং শক্তিশালী বিভিন্ন প্রযুক্তিকে কার্যকর, ব্যবহারযোগ্য ও সবার জন্য সহজলভ্য করে তোলা।”
‘ফ্যালকন এইচ১’ নামের আরও একটি মডেল চালু করেছে এটিআরসি। তাদের দাবি, এ মডেলটি মেটা ও আলিবাবার মতো প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়েও ভালো কাজ করবে। কারণ, এটি চালাতে কম কম্পিউটিং শক্তি লাগে ও বেশি প্রযুক্তিগত সক্ষমতার দরকার হয় না।
সৌদি আরবে ট্রাম্পের সফরের সময়ও প্রধান আলোচ্য বিষয় ছিল এআই। দেশটি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে এআই কার্যকলাপের জন্য সম্ভাব্য কেন্দ্র হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
বিবৃতিতে অনুসারে, এ মাসের শুরুতে সৌদি আরব নতুন একটি কোম্পানিও চালু করেছে, যার কাজ হবে এআই প্রযুক্তি ও অবকাঠামো তৈরি ও তা পরিচালনা করা। আরবি ভাষায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ‘লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল’ তৈরিরও লক্ষ্য নিয়েছে তারা।