Published : 31 May 2025, 02:40 PM
এআই নিয়ে দুই প্রযুক্তি প্রধানের প্রতিদ্বন্দ্বিতা এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যে ব্যবসায়িক বা রাজনৈতিক চুক্তির প্রচেষ্টার ওপরও প্রভাব ফেলছে।
বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে বড় রকমের প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে এক্সএআইয়ের প্রধান ইলন মাস্ক ও চ্যাটজিপিটির নির্মাতা ওপেনএআইয়ের প্রধান স্যাম অল্টম্যানের মধ্যে। আর এ নিয়ে প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।
এ সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তির বরাত দিয়ে সিএনবিসি প্রতিবেদনে লিখেছে, এ মাসের শুরুতে, ওপেনএআই, ওরাকল, এনভিডিয়া, সিসকো ও আমিরাতের কোম্পানি জি৪২ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ‘স্টারগেইট এআই’ নামের বিশাল এক ক্যাম্পাস গড়ে তোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। নিজের ব্যক্তিগত প্রতিদ্বন্দ্বী স্যাম অল্টম্যানের নেতৃত্বে ওপেনএআইকে এ চুক্তির জন্য নির্বাচিত করায় হতাশ হয়েছেন মাস্ক। এরপর এ প্রকল্পে তার এআইকেন্দ্রীক স্টার্টআপ এক্সএআইকে অন্তর্ভুক্ত করাতেও হস্তক্ষেপ করেন তিনি।
সূত্র বলছে, ইলন মাস্ক দাবি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্টারগেইট প্রকল্প অনুমোদন না করুন। ফলে চুক্তির ঘোষণাটি কয়েক দিন পিছিয়ে যায়। এর কারণ ছিল, এর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন কোম্পানি ও হোয়াইট হাউস মাস্কের আপত্তি ও চাপ সামাল দিচ্ছিল। পাশাপাশি মাস্কের সঙ্গে স্যাম অল্টম্যান ও ওপেনএআইয়ের প্রকাশ্য এবং আইনি বিবাদ চলছে, যেটাও বিষয়টিকে আরও জটিল করে তোলে।
এ খবর প্রথম প্রকাশ করে মার্কিন বাণিজ্য দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদনে লিখেছে, এই চুক্তি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মাস্ক।
এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট।
লেভিট বরং বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত গুরুত্বপূর্ণ এক কাঠামোগত চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যেখানে প্রথমবারের মতো দ্রুতগতির এআই অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে তারা।”
হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, এ চুক্তি স্বাক্ষরের সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছিলেন না মাস্ক। তবে মধ্যপ্রাচ্যের সফরের আগের একটি পর্যায়ে তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সৌদি আরবে ছিলেন। এ বিষয়ে সরকারকে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন মাস্ক। যাতে সব এআই কোম্পানির সঙ্গে ন্যায্য আচরণ করেন তিনি।
এদিকে, এ বিষয়ে সিএনবিসি’র মন্তব্যের অনুরোধে রাজি হয়নি ওপেনএআই। মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি মাস্কও।