Published : 20 Feb 2017, 04:01 PM
২০১২ সালে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ‘মেগাআপলোড’ বন্ধ করে দেয় মার্কিন আদালত। অবৈধভাবে মুভি ডাউনলোড করার প্লাটফর্ম হিসেবে সাইটটি ব্যবহার করা হচ্ছে এবং এতে প্রচুর আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ করেছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। মেগাআপলোড-এর মাধ্যমে কপিরাইট আইন লঙ্ঘন আর মুদ্রাপাচারের অভিযোগে সাইটটির নির্মাতা কিম-কে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হবে কিনা- এ নিয়ে নিউ জিল্যান্ডের অকল্যান্ডে অনেক দিন ধরেই মামলা চলছে। দেশটির নিম্ন আদালতে প্রথমে কিম-কে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তান্তর করা যেতে পারে বলে রায় দেওয়া হয়। রায়ের বিপরীতে কিম-এর করা আপিলের প্রেক্ষিতে ওই রায় দেওয়ার নয় মাস পর উচ্চ আদালতে এই শুনানি শুরু হয়।
প্রতারণার ষড়যন্ত্র, কপিরাইট লঙ্ঘন, মুদ্রা পাচারসহ ১৩টি অভিযোগে ২০১৫ সালে নিউ জিল্যান্ডের নিম্ন আদালতে দেওয়া রায়ে এবার উচ্চ আদালত সমর্থন জানিয়েছে।
এক বিবৃতিতে ডটকম-এর আইনজীবী রন ম্যানসফিল্ড উচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তকে “অত্যন্ত হতাশাজনক” বলে মন্তব্য করেন। ডটকম নিউ জিল্যান্ড-এর কোর্ট অফ আপিল-এ আপিল করবেন বলেও জানান তিনি।
ডটকম আর তার তিন সহযোগী ফিল্ম স্টুডিও আর রেকর্ড প্রতিষ্ঠানগুলোর ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষতি করেছেন আর ব্যবহারকারীদের কপিরাইট করা কনটেন্ট শেয়ার ও জমা রাখতে উৎসাহ দিয়ে সাড়ে ১৭ কোটি ডলারেরও বেশি আয় করে নিয়েছেন বলে দাবি যুক্তরাষ্ট্রের।
নিউ জিল্যান্ড-এর আইনে কপিরাইট নিয়ে ডটকম-এর এমন কোনো অপরাধ নেই যে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত দেওয়া যেতে পারে, তবে প্রতারণার অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে বলে জানান নিউ জিল্যান্ড-এর উচ্চ আদালতের বিচারক মুরে গিলবার্ট।
ডটকম-এর সহযোগী ম্যাথিয়াস অর্টম্যান, ব্র্যাম ফন ডার কক আর ফিন বাটাটো-কেও হস্তান্তর করা যাবে বলে রায় দিয়েছে আদালত, জানিয়েছে রয়টার্স।
এক টুইটে ডটকম বলেন, “আমি কপিরাইটের জন্য হস্তান্তরিত হচ্ছি না। আমরা এটি জিতে গেছি। আমাকে এমন একটি অভিযোগে হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে যা আসলে কার্যকর হয় না।”