Published : 17 May 2017, 07:13 PM
বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডে আঘাতগ্রস্থ ব্যক্তিদের সহায়তা করতেই চিপ নকশা করা হবে। আর চিপটি মাথার খুলির মধ্যেই বসানো হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যাতে কাজ করতে পারেন এবং সেইসঙ্গে সংবেদনশীল অনুভূতি গ্রহণ করতে পারেন সে লক্ষ্যেই কাজ করবে গবেষক দলটি। প্রকল্পের সময় বলা হচ্ছে ১০ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াশিংটন-এর সেন্টার ফর সেন্সরিমোটর নিউরাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ইমপ্ল্যান্টটি তৈরির কাজ করা হবে। এর জন্য প্রসেসর সরবরাহ করবে আর্ম।
ইতোমধ্যেই এ প্রযুক্তির একটি সংস্করণ তৈরি করেছেন গবেষকরা।
এ ব্যাপারে আর্ম-এর স্বাস্থ্যসচেতনতা প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক পিটার ফার্গুসন বলেন, “তাদের কিছু প্রাথমিক প্রটোটাইপ ডিভাইস রয়েছে। এখন চ্যালেঞ্জ হলো শক্তি খরচ এবং এর থেকে নির্গত তাপ। খুব ক্ষুদ্র এবং খুব কম শক্তি খরচ করে এমন কিছু তাদের লাগবে।”
এর আগেও মস্তিষ্কে ইমপ্ল্যান্ট বসানো নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা দেখা গেছে। সম্প্রতি ক্লিভল্যান্ড-এর কেইস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি-তে গবেষকরা প্রথমবারের মতো পুরোপুরি পক্ষাঘাতগ্রস্থ এক রোগীকে মস্তিষ্কের মাধ্যমে হাতের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনতে সফল হন।
ইতোপূর্বে পক্ষাঘাতগ্রস্থ একটি বানরের মস্তিষ্কে ইমপ্ল্যান্ট ব্যবহার কয়ায় বানরটি পুনরায় চলতে সক্ষম হয়। এই ইমপ্ল্যান্ট মানুষের মস্তিষ্কে ব্যবহারের ফলে পক্ষাঘাতগ্রস্থ মানুষও পুনরায় হাঁটতে চলতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন এই দলের বিজ্ঞানীরা।