Published : 01 Oct 2017, 02:36 PM
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গেটি ইমেজেস বিশ্বে অন্যতম বড় স্টক ফটো এজেন্সি হিসেবে বিবেচিত। প্রতিষ্ঠানটি সংবাদভিত্তিক ছবিও সরবরাহ করে।
ফ্রান্স-এর নতুন এক আইনে মানুষের কোনো ছবি ফটোশপ করা হলে সে বিষয়ে স্পষ্ট উল্লেখ করতে বলা হয়েছে। ১ অক্টোবর থেকে ওই আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। ওই আইনের সূত্র ধরেই গেটির এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এরপর থেকে ছবি সংস্থাটি কোনো মডেলকে অপেক্ষাকৃত ঠিপছিপে বা বড় দেখানোর স্বার্থে ‘ফটোশপ করা’ ছবিগুলো গ্রহণ করবে না। প্রদায়কদের পাঠানো এক মেইলে প্রতিষ্ঠানটি বলে, নতুন এই আইন ছবির সব ধরনের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র বলেন, “চুলের রং, নাকের আকৃতি, ত্বকে পরিবর্তন আনা বা খুঁত দূর করার মতো অন্যান্য পরিবর্তনগুলো নতুন এই আইনের আওতায় পড়বে না আর এগুলো এখনও গ্রহণযোগ্য।”
২০১৫ সালে ফ্রান্সের নতুন এই আইন পাস করা হয়। এতে বলা হয়, বিভিন্ন মডেলের যেসব ছবি পরিবর্তন করে তাদেরকে বেশি ছিপছিপে বা বড় দেখানো হচ্ছে, সেই ছবিগুলো যে সম্পাদনা করা তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে।
গেটি’র নতুন নিয়ম আর ফ্রান্সের এই আইন একই দিন থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে।
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্যাশন খাত ও মিডিয়া জগতে এখনও সম্পাদিত বিভিন্ন নারীর ছবি আধিপত্য বজায় রেখেছে। চলতি মাসের শুরুতে এক গবেষণায় বলা হয়, ছিপছিপে গড়নের একজন নারীর ছবির দিকে ১৫ মিনিট তাকিয়ে থাকলে একটি ‘আদর্শ শরীর’ সম্পর্কে আমাদের ধারণা বদলে যেতে পারে।
সুইজারল্যান্ড-এর ইউনিভার্সিটি অফ নিউশ্যাটেল এর ওই গবেষকরা বলেন, “চিকন হওয়ার ধারণাটি হচ্ছে আদর্শ পাতলা বা কম ভরের নারীদেহের পশ্চিমা ধারণা, আর গণমাধ্যমে এর বিস্তার নারীদের স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব রাখে।”
২০১৩ সালে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান নিউ লুক-এর একটি জরিপে দেখা যায়, ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়স্কদের মধ্যে ১৫ শতাংশ বিজ্ঞাপন, ম্যাগাজিন ও বিলবোর্ডে দেখানো নারীদের বাস্তবেও এমন দেখায় বলে বিশ্বাস করে নিয়েছেন। ওই জরিপে অংশ নেওয়া দুই হাজার নারীর মধ্যে এক তৃতীয়াংশ বলেছেন তারা তাদের দেহের ব্যাপারে ‘আত্মবিশ্বাসী নন’, এর মাত্রা কখনও চরম পর্যায়েও।