Published : 22 Dec 2017, 05:57 PM
গ্লোবেক্স-এর প্রেসিডেন্ট ভালেরি অভসাইনিকভ রয়টার্স-কে বলেন, গত সপ্তাহে এই হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয় কিন্তু “গ্রাহকদের তহবিল ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি।”
হ্যাকাররা দিন দিন আক্রমণের উদ্দেশ্যে নতুন নতুন উন্নত টুল আর কৌশল হাতে নিচ্ছে। এ কারণে ডিজিটাল চুরির হুমকি বাড়ছে বলে নভেম্বরেই সতর্ক করেছিল সুইফট। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮.১ কোটি ডলার হাতিয়ে নেওয়ার খবর প্রকাশের পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত করার কারণে এর মধ্যে অনেকগুলো হ্যাকিংয়ের চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় ব্যাংক মেসেজিং ব্যবস্থা পরিচালনা প্রতিষ্ঠানটি।
গ্লোবেক্স-এ চালানো আক্রমণের খবরের সঙ্গে সম্পৃক্ত সূত্রের বরাতে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটি এই আক্রমণ শনাক্ত করতে পেরেছিল আর সাইবার অপরাধীদের অর্থ হাতিয়ে নেওয়া ব্যর্থ করে দেয়। তবে, হ্যাকাররা এক লাখ ডলার হাতিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় রুশ দৈনিক কোমারসেন্ট-এর প্রতিবেদনে।
গ্লোবক্স-এর এই ঘটনা নিয়ে কোনো আলোচনা করতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছে সুইফট। এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলে, “আমরা সাইবার নিরাপত্তা বিষয়টিকে খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেই আর আমরা সব হুমকি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করি, সেইসঙ্গে যে কোনো ঝুঁকি সরাতে ও আমাদের সেবাকে সুরক্ষিত করতে সব ধরনের যথাযথ পদক্ষেপ নেই।” রয়টার্স-কে পাঠানো এক ইমেইলে প্রতিষ্ঠানটি বলে, “সুইফট-এর নেটওয়ার্ক বা মেসেজিং সেবায় অননুমোদিত কোনো প্রবেশের কোনো ধরনের কোনো প্রমাণ নেই।”
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইবার আক্রমণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক-এর অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর থেকে বেলজিয়ামভিত্তিক সুইফট ব্যাংকগুলোকে নিরাপত্তা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বিভিন্ন সতর্কতা জারি করেছে। এ ক্ষেত্রে মোট কয়টি আক্রমণ হয়েছে আর এগুলোর শিকারই কারা তা নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশে অস্বীকৃতি জানালেও কিছু ক্ষেত্রে খবরগুলো প্রকাশিত হয়ে যায়। এর মধ্যে তাইওয়ান-এর ফার ইস্টার্ন ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংক আর নেপাল-এর এনআইসি এশিয়া ব্যাংক-এর ঘটনা উল্লেখযোগ্য।
সুইফটকে লক্ষ্য করে চালানো হ্যাকিং নিয়ে তদন্তে সহায়তাকারী সাইবার বিশেষজ্ঞ শেইন শক বলেন, কমপক্ষে সাতটি প্রতিষ্ঠান অন্তত শেষ পাঁচ বছর ধরে এ ধরনের আক্রমণ চালিয়ে আসছে, যদিও তার মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো অভিযোগ উঠে না।