Published : 26 Jun 2025, 03:38 PM
২০২৪ সালের জুনে লন্ডনের কিছু হাসপাতাল ও ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনএইচএস-এর ব্লাড পরিষেবায় র্যানসমওয়্যার আক্রমণ হয়। ওই সাইবার আক্রমণের সঙ্গে হাসপাতালটির সেবা বাধাগ্রস্ত হয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যুর সম্পর্ক মিলেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘কিংস কলেজ হসপিটাল এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’ বলেছে, ২০২৪ সালের ৩ জুন রুশ সাইবার আক্রমণের সময় এক রোগী ‘অপ্রত্যাশিতভাবে মারা গিয়েছিলেন’। এ হামলার কারণে ১০ হাজারেরও বেশি চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট অ্যাপয়েন্টমেন্টে ব্যাঘাত ঘটেছিল।
‘কিংস কলেজ হসপিটাল এনএইচএস ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’-এর একজন মুখপাত্র বলেছেন, রোগীর মৃত্যুর পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘রক্ত পরীক্ষার ফল পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা’।
এ হামলার ঘটনায় দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের এনএইচএস ট্রাস্ট ও জিপিএস ল্যাব পরিচালক সংস্থা ‘সিনোভিস’-এর অধীনে থাকা রোগীদের তথ্য চুরি হয়ে যায় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
ট্রাস্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ওই রোগীর চিকিৎসা নিয়ে বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে।
তারা বলেছেন, “রোগীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনার তদন্তে এমন কয়েকটি কারণ দায়ী বলে শনাক্ত করা হয়েছে, যা রোগীর মৃত্যুর পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
“যার মধ্যে রয়েছে ওই রোগীর রক্ত পরীক্ষার ফল পেতে দীর্ঘক্ষণ ধরে অপেক্ষা, যা ওই সময়ে সাইবার আক্রমণের কারণে প্যাথলজি সেবা ব্যাহত হওয়ায় ফলে ঘটেছিল।
“আমরা রোগীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি এবং এ নিরাপত্তা তদন্তের ফলাফল তাদের জানিয়েছি।”
বিবিসি লিখেছে, এ সাইবার হামলার কারণে লন্ডনের দুটি এনএইচএস ট্রাস্ট সবচেয়ে বেশি সমস্যার মুখে পড়ে এবং এ কারণে সেখানে ১০ হাজারেরও বেশি রোগীর ডাক্তার দেখানোর সময় বা অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করতে হয়েছে। পাশাপাশি লন্ডনের অনেক জিপি বা জেনারেল প্র্যাকটিশনার চিকিৎসকরা তাদের রোগীদের জন্য রক্ত পরীক্ষার অর্ডার দিতে পারেনি।
যুক্তরাজ্যের ‘হেলথ সার্ভিস জার্নাল’ বা এইচএসজে রিপোর্ট করেছে, এ হামলার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রায় ছয়শটি ‘ঘটনা’ ঘটেছে, যার মধ্যে একশ ৭০টি ক্ষেত্রে রোগীদের সেবা বাধার মুখে পড়েছিল। একটিতে ‘গুরুতর’ ক্ষতির মতো ঘটনা ঘটেছে এবং ১৪টি ক্ষেত্রে ‘মাঝারি’ ঘটনা ঘটেছিল। বাকি ঘটনাগুলো ‘কম ক্ষতির’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এনএইচএস-এর নির্দেশিকা অনুসারে, গুরুতর ক্ষতি তখন ঘটে যখন রোগীরা স্থায়ী ক্ষতির মুখে পড়েন; যেখানে জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসার প্রয়োজন হয় বা তাদের জীবনের সম্ভাব্য আয়ু কমে যেতে পারে, এছাড়া আরও কিছু কারণ থাকতে পারে।