Published : 09 Sep 2024, 01:48 PM
বর্তমানে অনেক জায়গাতেই ওয়াইফাই সংযোগ পাওয়া যায়। তবে, নানা কারণেই সেটি নাগালের বাইরে থাকতে পারে। আর এমন অবস্থায়, বিশেষ করে ভ্রমণ করার সময় ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ কম। এমন হলে ভরসার জায়গা কেবল মোবাইল ডেটা প্যাকেজ।
এমন অবস্থায় অনেক সময়ই কম ডেটা খরচে কাজ চালানোর দরকার হতে পারে। কারো যদি মনে হয় তার আইফোন অনেক বেশি মোবাইল ডেটা ব্যবহার করছে, তবে খরচ কমাতে কিছু সহজ পন্থা মেনে চলতে পারেন।
আইফোনের মোবাইল ডেটা খরচ কমানো নিয়ে নির্দেশনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রযুক্তি সাইট হাও-টু গিক।
লো ডেটা মোড চালু করুন
আইফোনে খুব সহজ একটি ফিচার আছে যার নাম ‘লো ডেটা মোড’। ডেটা ব্যবহার কমাতে চাইলে এ মোড চালু করাই হবে প্রথম কাজ। এ মোড স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডেটা ব্যবহার কমানোর পাশাপাশি আইওএস ও আইফোনের এমন সব ফিচার বন্ধ করে যেগুলো অনেক বেশি ডেটা খরচ করে।
এটি চালু করা খুবই সহজ। প্রথমে সেটিংস অ্যাপে যান, এরপর ‘সেলুলার’ অপশনটি বেছে নিন, সেখান থেকে ‘সেলুলার ডেটা অপশনস’ এ চাপুন। পরের পেইজে ‘লো ডেটা মোড’-এর অপশন পাবেন। সেটি চালু করলেই হয়ে যাবে।
ভিডিও স্ট্রিমিং
ডেটা খরচ করে এমন ফিচারের মধ্যে অন্যতম ভিডিও স্ট্রিম। বিশেষ করে বর্তমানে যখন উঁচু রেজুলিউশনে ভিডিও স্ট্রিম করা যায়। মোবাইল ডেটা বাঁচাতে চাইলে ওয়াইফাই ছাড়া ভিডিও স্ট্রিম না করাই ভালো।
খুব বেশি দরকার হলে চেষ্টা করুন ভিডিও রেজুলিউশন একেবারে কমিয়ে নিতে। ৭২০পি ব্যবহার করলে যে মোবাইল ডেটার দরকার হয় ২৪০পি-এর বেলায় তার অনেক কম ডেটা প্রয়োজন। ফলে রেজুলিউশন যত কম রাখবেন তত কম ডেটা খরচ হবে।
সংগীত স্ট্রিমিং
অনলাইনে সংগীত বা গান শোনার ক্ষেত্রে তেমন ডেটা দরকার না হলেও, ডেটার একটি বোড় অংশ এখানে যেতে পারে। বিশেষ করে ব্যবহারকারী সংগীতপ্রেমী হলে। বেশিরভাগ সময় পছন্দের সব গান অফলাইনে ডাউনলোড করা থাকতে পারে। তবে, কেউ ওয়ফাইফাই সংযোগ ছাড়া গান স্ট্রিম করতে চাইলে ভিডিও’র মতো স্ট্রিমিংয়ের মান কিছুটা কমিয়ে নিন।
কীভাবে এটি করবেন তা নির্ভর করে গান স্ট্রিম করা অ্যাপের ওপর। স্পটিফাই ব্যবহার করলে, অ্যাপের ওপরের ডানদিকে সেটিংস আইকনে চাপুন ও ‘ডেটা সেভার’ অপশনটি বেছে নিন।
অ্যাপল মিউজিক ব্যবহার করলে, প্রথমে আইফোনের সেটিংস অ্যাপে যেতে হবে। এরপর ‘মিউজিক’ অপশন বেছে নিন, ‘অডিও কোয়ালিটি’ বেছে নিন। এরপর ‘সেলুলার স্ট্রিমিং’ অপশনে গিয়ে ‘হাই এফিশিয়েন্সি’ অপশনটি বেছে নিন। এখানে ‘নান’ অপশন বেছে নিলে মোবাইল ডেটা ব্যবহার করে আর স্ট্রিম করা যাবে না।
‘ওয়াইফাই অ্যাসিস্ট’ ফিচার বন্ধ করুন
ওয়াইফাই অ্যাসিস্ট হল এমন এক ফিচার যা ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক খারাপ থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আইফোন সেলুলার ডেটা চালু হবে। এটি চালু থাকলে, ওয়াইফাই সংযোগ থাকা অবস্থাতেই অনেক সময় ফোনের ডেটা অজান্তেই খরচ হয়ে যেতে পারে।
প্রথমে আইফোনের সেটিংস অ্যাপে গিয়ে, ‘সেলুলার’ অপশনে যান। এরপর এ মেনুর একেবারে নিচে স্ক্রল করুন। সেখানে ওয়াইফাই অ্যাসিস্ট অপশন দেখবেন, এটি বন্ধ করুন।
জরুরী কাজের ক্ষেত্রে এ ফিচার অনেকসময় কাজের হতে পারে। তাই প্রয়োজন মনে করলে আবার চালু করে নিন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন
এটিই সম্ভবত সবচেয়ে কঠিন। প্রায় সবাই এখন বন্ধুদের সঙ্গে আপ-টু-ডেইট থাকতে পছন্দ করেন। এ ছাড়াও, নানা কারণে ভ্রমণের সময়ও সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করার প্রয়োজন হতে পারে। তবে, সোশাল মিডিয়া ব্যবহারে কিন্তু প্রচুর ডেটা খরচ হয়।
সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে থাকা সব ভিডিও, জিফ ফাইল, ছবি ও অন্যান্য মিডিয়া লোড হতে প্রচুর ডেটা খরচ হয়। ফলে, মোবাইল ডেটা বাঁচাতে সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো।
এরপরেও কেউ ব্যবহার করতে চাইলে, সোশাল মিডিয়ার অটোপ্লে ফিচারটি বন্ধ করে নিন। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও চালু হবে না এবং ডেটা খরচ হবে না।
দিন শেষে ডেটা সংরক্ষণের সবচেয়ে ভাল হল আইফোন যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করা। শুধু মনে রাখবেন, বেশিরভাগ অ্যাপের স্বয়ংক্রিয় সব ফিচার বন্ধ করলেই ডিভাইসের অনেকটা ডেটা বেচে যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে হাও-টু গিক।