Published : 31 Jul 2024, 06:04 PM
গাড়ির সামনের অংশ বা ‘হুড’-এর সমস্যায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকার ফলে ১৮ লাখের বেশি গাড়ি ফেরত নিচ্ছে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টেসলা।
টেসলা ২০২১-২০২৪-এর মধ্যে তৈরি ‘মডেল ৩’, ‘মডেল এস’, ‘মডেল এক্স’ এবং ২০২০-২০২৪ ‘মডেল ওয়াই’ গাড়ি প্রত্যাহার করছে, কারণ গাড়ির সামনের অংশ, যেটিকে হুড বা বনেট বলা হয়, সেটি খোলার পর ঠিকঠাক বন্ধ হয়েছে কিনা গাড়িগুলো তা শনাক্ত করতে ব্যর্থ হতে পারে।
গাড়ি চলমান অবস্থায় আনল্যাচড বা ঠিকভাবে বন্ধ না হওয়া হুড পুরোপুরি খুলে গিয়ে চালকের দৃষ্টিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ায়।
তবে, কোম্পানিটি এ মূহুর্তে সমস্যাটির সঙ্গে জড়িত কোনো দুর্ঘটনা, আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনার বিষয়ে অবগত নয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিপেনডেন্ট-এর মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনো জবাব দেয়নি টেসলা।
মার্চ মাসে চীনে মডেল ৩ ও মডেল ওয়াই গাড়ি নিয়ে গ্রাহকদের অভিযোগের তদন্ত শুরু করে ইভি নির্মাতা কোম্পানিটি। এপ্রিল মাসেই কোম্পানিটি বুঝতে পারে চীনের গাড়িগুলোয় ‘ল্যাচ সুইচ’ এর সমস্যা থাকতে পারে।
ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার তুলনায় চীনে এ ঘটনার হার বেশি ছিল বলে সমস্যাটি খতিয়ে বুঝতে পেরেছে টেসলা। তবে, এ তারতম্যের কারণ অজানা বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে ইনডিপেন্ডেন্ট।
ইলন মাস্কের কোম্পানিটি জুলাই ২০ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ির তিনটি ওয়ারেন্টি দাবি ও ফিল্ড রিপোর্ট চিহ্নিত করতে পেরেছে, যা হুড সমস্যার সঙ্গে সম্পর্কিত থাকতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ট্রাফিক সেইফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে টেসলা সমস্যাটি সমাধান করতে বিনামূল্যের সফটওয়্যার আপডেট এনেছে।
পাশপাশি, গেল মাসে নিজেদের ‘সাইবার ট্রাক’ পিক আপ চতুর্থবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে প্রত্যাহার করেছে টেসলা। প্রত্যাহারের কারণ, সাইবার ট্রাকের ‘ট্রিম পিস’ ঢিলা হতে পারে ও সামনের উইন্ডশিল্ড ওয়াইপার বা গাড়ির কাঁচ পরিষ্কারের প্রযুক্তি ব্যর্থ হতে পারে।
গত বছর ৩০ নভেম্বর সাইবার ট্রাক চালু করার পর বিদ্যুচ্চালিত পিকআপ ট্রাকটিকে “রাস্তার সবচেয়ে অনন্য বাহন” হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
“অবশেষে ভবিষ্যত আসলেই ভবিষ্যতের মতো দেখাবে।” – টেসলা বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতিতে বলেছিলেন মাস্ক।
প্রাথমিকভাবে, সাইবার ট্রাককে “ভবিষ্যত থেকে আসা সাঁজোয়া যান” বলা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ইন্ডিপেনডেন্ট।