Published : 25 Nov 2024, 02:20 PM
যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ আইটি নেটওয়ার্কগুলোতে সাইবার আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীনা হ্যাকাররা, এমনই দাবি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ‘সাইবার কমান্ড’-এর নির্বাহী পরিচালক মরগান অ্যাডামস্কি বলেছেন, চীনের মদদপুষ্ট বিভিন্ন সাইবার অপারেশনের লক্ষ্য হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বড় কোনো যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এগিয়ে থাকা।
যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন, চীন সংশ্লিষ্ট হ্যাকাররা এরইমধ্যে বিভিন্ন আইটি নেটওয়ার্কে আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি সম্ভাব্য কোনো যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ব্যঘাত ঘটানোর মতো সাইবার হামলার প্রস্তুতি নিয়েছে।
বছরের শুরুতে মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, চীনা হ্যাকারদের গতিবিধির মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক যেমন বিভিন্ন সার্ভার রুমের হিটিং, ভেন্টিলেশন ও এয়ার-কন্ডিশনিং ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার বা শক্তি ও পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় ব্যঘাত ঘটানো।
বৃহস্পতিবার ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন শহরে আয়োজিত ‘সাইবারওয়ারকন’ নামের সাইবার নিরাপত্তা সম্মেলনে গবেষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন অ্যাডামস্কি।
একই দিন মার্কিন সেনেটর মার্ক ওয়ার্নার ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, মার্কিন টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলোর ওপর সাইবার আক্রমণ ঘটেছে। তিনি আরও যোগ করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের টেলিযোগাযোগ খাতে সবচেয়ে বিপজ্জনক সাইবার আক্রমণের ঘটনা হিসেবে বিবেচিত এ ঘটনার সঙ্গে চীনের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
ওই সাইবার গুপ্তরবৃত্তিকে ডাকা হয় ‘সল্ট টাইফুন’ নামে। সম্প্রতি এফবিআই বলেছে, এ আক্রমণে বিভিন্ন কল রেকর্ড ডেটা চুরি হওয়ার পাশাপাশি এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তথ্য এমনকি বিভিন্ন মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সংশ্লিষ্ট টেলিযোগাযোগবিষয়ক তথ্যও বেহাত হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাটি আরও বলেছে, এফবিআই ও ‘সাইবারসিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি’ সম্ভাব্য শিকারদের শনাক্ত করার প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের তথ্যও সরবরাহ করছে।
শুক্রবার অ্যাডামস্কি বলেছেন, মার্কিন সরকার আক্রমণাত্মক ও রক্ষণাত্মক উভয় মানসিকতা নিয়েই ‘গোটা বিশ্বে একটি পরিকল্পিত অপারেশন’ চালিয়েছে। এর স্পষ্ট লক্ষ্য ছিল বিশ্বজুড়ে পরিচালিত চীনা সাইবার অপারেশন ব্যাহত করা।
মার্কিন অবকাঠামোকে শিকার বানিয়ে সাইবার আক্রমণ পরিচালনার অভিযোগ ক্রমাগতই নাকচ করে আসছে বেইজিং। এ প্রসঙ্গে রয়টার্স ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের মন্তব্য জানতে চাইলেও তাৎক্ষণিক সাড়া মেলেনি।