Published : 08 Jun 2024, 02:19 PM
জেনারেশন ওয়াই, যারা ‘মিলেনিয়াল’ নামেও পরিচিত, এরা মূলত ৮০’র দশকের শুরু থেকে ২০০০’র দশকের আগ পর্যন্ত জন্ম নেওয়া লোকজন।
তারা বেড়ে উঠেছেন ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের উত্থানের সময়, যেখানে তাদের প্রযুক্তি ও গণমাধ্যম ব্যবহারের ধরনও বদলে গিয়েছে।
মিলেনিয়ালরা বেশিরভাগই প্রযুক্তি-বান্ধব, নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া ও সামাজিকভাবে সচেতন মানুষ হিসেবে বিবেচিত, যাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ডিজিটাল যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে গভীর যোগসূত্র আছে।
কিন্তু এই প্রযুক্তিগত সম্পর্ক শুধুই তাদের ক্ষেত্রে ঘটে, বিষয়টি এমন নয়। বয়স্ক ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এ প্রবণতা দেখা যায়।
এদিকে, মিলেনিয়ালরা কীভাবে বিভিন্ন বিপণনভিত্তিক কনটেন্টে সাড়া দেয়, তা খোঁজার ফলাফল পাওয়া যাবে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ইলেকট্রনিক মার্কেটিং অ্যান্ড রিটেইলিং’-এ প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায়।
ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও এক্স-এ দেখানো বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের প্রতি মিলেনিয়ালদের আচরণ বোঝার চেষ্টা করেছেন ‘ইউনিভার্সিটি উতারা মালেয়শিয়া’র গবেষক নর আজিমা কামারুদ্দিন ও ‘ইউনিভার্সিটি টেকনোলজি মারা’র দুই গবেষক লেনোরা পুতিত ও অ্যামিলি ফিকরি।
গবেষকরা তাদের কার্যপদ্ধতিতে এফজিডি বা ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনে’ গুরুত্ব দিয়েছেন। এতে গবেষণা দলটি দেখেছে, মিলেনিয়ালরা বিজ্ঞাপনী কনটেন্টে যেভাবে সাড়া দেয়, তাকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো হল, ইতিবাচক (পছন্দ হয়েছে), নেতিবাচক (পছন্দ হয়নি) ও অস্পষ্ট (সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনো ধারণাই নেই)।
এর মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া মিলেছে যখন কোনো কনটেন্ট ব্যবহারকারীর পছন্দের সঙ্গে মিলে যাওয়ার ক্ষেত্রে, যেখানে সংশ্লিষ্ট কনটেন্টে ‘লাইক’ দেওয়ার পাশাপাশি সেগুলো ‘শেয়ার’ও করেছেন তারা।
অন্যদিকে, নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া মিলেছে যখন কোনো কনটেন্ট ব্যবহারকারীর পছন্দের একেবারে বিপরীত, যার ফলে প্রায়শই সেইসব কনটেন্টে ‘থাম্বস ডাউন’ বা নেতিবাচক মন্তব্য দেখা গেছে।
মজার বিষয় হল, এ গবেষণায় দেখা গেছে, অস্পষ্ট বা ‘জানি-না’ এমন প্রতিক্রিয়া মিলেনিয়ালদের মধ্যে বেশ সাধারণ একটি বিষয়।
প্রাথমিকভাবে অনিশ্চয়তার পরও এইসব ব্যবহারকারী প্রায়শই এমন কনটেন্ট নিয়ে কৌতুহলী ছিলেন ও কখনও কখনও সেগুলো শেয়ারও করেছেন তারা। এমন কৌতুহলবশত শেয়ার করার প্রবণতা কনটেন্ট ভাইরাল হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুতপূর্ণ ভূমিকা রাখে, যা বিপণনকারীদেরও মূল লক্ষ্য থাকে।
‘ভাইরাল রিচ’ বলতে মূলত কোনো কনটেন্ট কতোটা বিস্তৃতভাবে শেয়ার করা ও দেখা হয়েছে, সে বিষয়টিকে বোঝায়। আর এটি প্রচলিত বিজ্ঞাপনী পদ্ধতির মাধ্যমে অর্জিত পণ্য বিক্রির সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা কী ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করতে পছন্দ করেন, তা বুঝতে পারা ভাইরাল হতে চাওয়া বিপণনকারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সংক্ষেপে বললে, যখন মিলেনিয়ালরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখানো বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে ইতিবাচক, নেতিবাচক বা অস্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানিয়ে থাকেন, সেখানে অস্পষ্ট প্রতিক্রিয়া জানানো ব্যবহারকারীদের কৌতুহল ভাইরাল সাফল্য অর্জনের বিশেষ সুযোগ হিসেবে কাজ করে।