Published : 18 Oct 2024, 03:43 PM
এবার প্লাটফর্মটিতে আপলোড করা বিভিন্ন ভিডিও ‘ক্যামেরায় ধারণ করা হয়েছে’ কি না তা জানাবে ইউটিউব। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিডিওগুলো ক্যামেরা ব্যবহার করে ধারণ হয় না বলে দাবি কোম্পানিটির।
ইউটিউবে আপলোড করা বিভিন্ন ভিডিওর নীচে এবার থেকে লেবেলিং থাকবে ‘কীভাবে এই কনটেন্টটি তৈরি হয়েছে’ ও ‘এই কনটেন্টটি ক্যামেরা বা অন্য রেকর্ডিং ডিভাইসের মাধ্যমে ধারণ করা হয়েছে’ কি না এমন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থান ও এআই দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ভিডিও হুমকি তৈরি করতে পারে এমন শঙ্কার প্রেক্ষিতে ইউটিউব এ পদক্ষেপ নিল বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্মটিতে আসল বা নকল বিভিন্ন ভিডিও আপলোডের পাশাপাশি এগুলো ব্যবহারকারীদের ট্যাগও করা হচ্ছে, যা মানুষদেরকে বিভ্রান্ত করতে পারে। তবে ভিডিওতে লেবেলিং করা হলে তা বিভান্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে সহায়ক হবে।
এসব ভিডিওতে ব্যবহৃত হবে ‘সি২পিএ’ নামে এক প্রচলিত প্রযুক্তি, যা কোনও ভিডিও এডিট করা হয়েছে কি না বা ভিডিওটি আসল কিনা তা স্পষ্ট করার মতো তথ্য ভিডিও থেকেই পাবে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম।
যেমন– কিছু ক্যামেরা কোম্পানি তাদের বিভিন্ন ক্যামেরাতে প্রযুক্তিটি যোগ করেছে, এর ফলে ইউটিউব স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেখতে সক্ষম হবে যে ভিডিওটি আসলে কোনও ডিভাইসে রেকর্ড করা হয়েছিল না কি এআইয়ের তৈরি।
এসব ভিডিও এডিট করার পাশাপাশি করা যাবে ট্যাগও। তবে এগুলো এমনভাবে এডিট করা উচিত হবে না, যাতে বিভিন্ন ভিডিও আসল না কি নকল তা বোঝার উপায় থাকে না বা ভিডিওটি কোথা থেকে এসেছে তা শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে ওঠে।
এরইমধ্যে ইউটিউব ব্যবহারকারীদের জন্য ‘অলরেডি অর সিনথেটিক কনটেন্ট’ নামের এক শনাক্তকরণ বা চিহ্নিতকরণ বাটন এনেছে গুগল, যা ট্যাপ করার মাধ্যমে এআই ব্যবহারে তৈরি ভিডিওকে শনাক্ত করা যায়।
তবে, এই নতুন লেবেল সিস্টেমটি এমনভাবে কাজ করবে, যেখানে নিজেদের ক্যামেরায় ধারণ করা মূল ভিডিও লেবেলিংয়ের সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারীরা। আর নতুন প্রযুক্তিটি সহজেই জানান দেবে ভিডিওটি আসল কি না, বলেছে ইউটিউব।