Published : 04 Dec 2024, 05:16 PM
সফটওয়্যারের দাম নিয়ে মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে একশ কোটি পাউন্ডের মামলা হয়েছে যুক্তরাজ্যে। মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে দায়ের করা এ মামলায় জয়ী হলে এই অর্থ পাবে যুক্তরাজ্যের হাজার হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে ব্যবহৃত ‘উইন্ডো সার্ভার’ সফটওয়্যারের জন্য বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছে টেক জায়ান্টটি — এমন অভিযোগ করেছেন যুক্তরাজ্যের রেগুলেশন বিশেষজ্ঞ ড. মারিয়া লুইসা স্টাসি।
মামলায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে একশ কোটি পাউন্ডের বেশি অর্থ দাবি করেছেন মারিয়া লুইসা।
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য মাইক্রোসফটের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সাড়া পায়নি বিবিসি।
মামলাটি ‘অপ্ট-আউট’ ভিত্তিতে আনা হয়েছে, যার মানে এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যুক্তরাজ্যের সব কোম্পানিই এ মামলায় ভূক্তভোগী হিসাবে বিবেচিত হবে, যদি না তারা এতে থাকতে না চায় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্যে মামলার এ ধরনটি অন্যান্য মামলার তুলনায় এখনও বেশ নতুন। দেশটিতে প্রথমবারের মতো এই মামলা চালু হয় ২০১৫ সালে। সেক্ষেত্রে এ মামলায় সাফল্যের সম্ভাবনা কতখানি তা বোঝা বেশ কঠিন। পাশাপাশি, এর রায় পেতে এখন থেকে কয়েক বছরও লাগতে পারে।
যুক্তরাজ্যের ক্লাউড কম্পিউটিং শিল্প নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে দেশটির ‘কম্পিটিশন অ্যান্ড মার্কেটস অথরিটি’।
ক্লাউড কম্পিউটিং মানে হচ্ছে, অনলাইনে সংরক্ষিত বিভিন্ন ডেটা বা তথ্য। এর সুবিধা হচ্ছে, এর মাধ্যমে যে কোনো সময় যে কোনো জায়গা থেকে ডেটায় প্রবেশ করা যায়।
আধুনিক বিশ্ব কীভাবে কাজ করে তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ ক্লাউড কম্পিউটিং। ডেটা সংরক্ষণ করা থেকে শুরু করে ভিডিও ও মিউজিক স্ট্রিমিং পর্যন্ত সবই করা যায় এতে। বর্তমানে বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অংশ ক্লাউড কম্পিউটিং।
অভিযোগ হচ্ছে, ‘উইন্ডো সার্ভার’ সফটওয়্যার ব্যবহার করলে এর সঙ্গে নিজেদের ‘অ্যাজিউর’ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে মাইক্রোসফট। আর, এর বদলে অ্যামাজন বা গুগলের মতো বিকল্প সরবরাহকারীর সফটওয়্যার ব্যবহার করতে গেলে মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তি আছে এমন কারো সেবাই কেবল ব্যবহার করা যাবে।
লাইসেন্সিংয়ের এ শর্ত নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এ বছরের জুন মাসে গুগল সিএমএ-কে বলেছিল, “মাইক্রোসফটের এই লাইসেন্সিংয়ের শর্ত অন্য কোম্পানিগুলোর খরচ বাড়াচ্ছে। সেইসঙ্গে, প্রতিদ্বন্দ্বী বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়।”
তবে, এমন দাবি অস্বীকার করেছে মাইক্রোসফট।