Published : 04 Jul 2024, 05:27 PM
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের কিবোর্ড খুবই দরকারি এক ফিচার। একজন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা অনেকটাই নির্ভর করে ফোনের কিবোর্ডের ওপর।
তবে, কখনো কখনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের কিবোর্ড নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবহারকারীদের, বিশেষ করে স্বল্প বা অপরিচিত ব্র্যান্ডের বেলায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা প্রিইনস্টলড কিবোর্ডই পছন্দ করেন।
একজন ব্যবহারকারী চাইলে যে কোনো সময় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের কিবোর্ড বদলে নিতে পারেন, এবং আরও নির্ভরযোগ্য বিকল্প বেছে নিতে পারেন।
অ্যাপলের মতো গুগল থার্ড-পার্টি কিবোর্ড অ্যাপের কাজকর্মে তেমন বাধা দেয় না। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে কিবোর্ড পরিবর্তন করলে ডিভাইসজুড়েই সে পরিবর্তন হয়। অন্যদিকে আইওএস সুযোগ পেলেই ডিফল্ট কিবোর্ড ব্যবহার করে, উদাহরণ হিসেবে পাসওয়ার্ড টাইপ করার সময়।
এ ছাড়া, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ব্যবহার করা যাবে এমন বেশ কিছু কিবোর্ড গুগল প্লে স্টোরেই পাওয়া যাবে। দুটি জনপ্রিয় উদাহরণ হল, গুগলের জিবোর্ড ও মাইক্রোসফটের সুইফট কি। এখন এসব কিবোর্ডে বাংলা টাইপ করা গেলেও, বাংলাদেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় একটি বিকল্প ‘রিদমিক কিবোর্ড’।
তবে, নির্ভরযোগ্য কিবোর্ড খোঁজার জন্য গুগল প্লে স্টোরই সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। আর বেশিরভাগ কিবোর্ড ইনস্টল করার সময়, ডিফল্ট কিবোর্ড অ্যাপ বেছে নেওয়ার সুযোগ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই দেখায় ডিভাইসটি। তবে, চাইলে এটি নিজে থেকেও করে নেওয়া যায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের কিবোর্ড পরিবর্তন করবেন।
১. প্রথমে ডিভাইসের সেটিংস অ্যাপে যান।
২. এরপর ‘সিস্টেম’ হেডিং-এর নিচে ‘ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড ইনপুট’ অপশনটি বেছে নিন।
৩. ‘অন স্ক্রিন কিবোর্ড’ অপশপনে চাপ দিন।
৪. এবার যে কিবোর্ড ব্যবহার করতে চান সেটির টগল অন করুন ও বর্তমান কিবোর্ডের টগলটি বন্ধ করুন।
৫. স্ক্রিন পপ-আপ-এ ‘ওকে’ অপশনে চাপ দিন।
কেউ গুগল প্লেস্টোরের বিভিন্ন কিবোর্ড ব্যবহার করতে চাইলে, অ্যান্ড্রয়েডের দ্রুত কিবোর্ড পরিবর্তনের সাহায্যে একসঙ্গে একাধিক কিবোর্ড ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
একাধিক কিবোর্ড ব্যবহারের উপায়
কোনো নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে যদি সিদ্ধান্ত না নিতে পারেন, কোন কিবোর্ড বেশি প্রয়োজন, এমন সময় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে দুটি কিবোর্ডের মধ্যে পরিবর্তন করা সহজ।
১. সেটিংস অ্যাপ থেকে কিবোর্ড অপশন চালু করে, যে দুটি কিবোর্ড ব্যবহার করতে চান সেটির টগল অন করুন।
২. একটি খালি টেক্সট ফিল্ড বা টাইপ করার কোনো জায়গায় চাপ দিন, ও কিবোর্ড চালু করুন।
৩. কিবোর্ডের নিচে কিবোর্ড আইকন থেকে বাড়তি অপশন চালু করুন। এটি প্রতিটি কিবোর্ডের জন্য বাড়তি অপশন চালুর আইকন আলাদা হতে পারে।
৪. এ পর্যায়ে, পপ-আপ স্ক্রিন থেকে একটি কিবোর্ড বেছে নিয়েই সেটি ব্যবহার করতে পারবেন।
তবে, কিবোর্ড অ্যাপগুলো তৈরি করা সহজ, যা হ্যাকারদের কাছে একে আকর্ষণীয় করে তোলে। পাশাপাশি, অপিরিচিত অ্যাপ নির্মাতার কিবোর্ড ফোনের গতিও কমিয়ে ফেলতে পারে। এসব অ্যাপে তথ্য ও নিরাপদ থাকে না। ফলে, যে কোনো কিবোর্ড বেছে নেওয়ার আগে সতর্ক থাকুন।