Published : 16 Jan 2024, 12:52 PM
অ্যাপলকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামী কোম্পানির খেতাব নিজেদের করে নিয়েছে সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট।
চ্যাটজিপিটি’র নির্মাতা কোম্পানি ওপেনএআইয়ের জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তির ওপর মাইক্রোসফটের বড় বিনিয়োগকে এ কৃতিত্ব অর্জনের কারণ হিসেবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
পাশাপাশি, এনভিডিয়া ও অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলোকেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ওপর জোর দিতে দেখা গেছে।
গত এক বছরেই মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য বেড়েছে এক লাখ কোটি ডলার।
বিশ্লেষকরা এই পরিবর্তনের তুলনা করছেন ২০০০ দশকের প্রথম দিকের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে, যখন বিভিন্ন প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট কোম্পানির বাণিজ্যিক পথচলা শুরু হয়েছিল।
লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জ গ্রুপ (এলএসইজি)-এর তথ্য অনুযায়ী, মাইক্রোসফটের বর্তমান বাজারমূল্য দুই লাখ ৮৮ হাজার সাতশ কোটি ডলার। শুক্রবার পর্যন্ত অ্যাপলের বাজারমূল্য ছিল দুই লাখ সাড়ে ৮৭ হাজার কোটি ডলার। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর তিন লাখ আট হাজার একশ কোটি ডলার বাজারমূল্যে পৌঁছে নিজেদের সর্বোচ্চ বাজারমূল্য দেখেছিল আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি।
নিজেদের সফটওয়্যারে ওপেনএআইয়ের প্রযুক্তি যুক্ত করেছে মাইক্রোসফট, যা গত জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানির ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসা ঘুরে দাঁড়নোর ক্ষেত্রেও সহায়ক ভূমিকা রেখেছে।
এ ছাড়া, নিজস্ব ব্রাউজারে এআই প্রযুক্তি এনে সার্চ ইঞ্জিন খাতে গুগলের আধিপত্যকেও চ্যালেঞ্জ জানানোর সুযোগ পেয়েছে এই সফটওয়্যার জায়ান্ট।
এদিকে, নিজেদের ফ্ল্যাগশিপ পণ্য আইফোন’সহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ার পর থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে বিশ্বের শীর্ষ প্রভাবশালী প্রযুক্তি কোম্পানি অ্যাপল।
রয়টার্স বলছে, কোম্পানির তৃতীয় বৃহত্তম বাজার অর্থাৎ চীনে হুয়াওয়ের মতো স্থানীয় কোম্পানির দিক থেকে চাপ বেড়ে যাওয়ার কারণেই এমনটি ঘটেছে আইফোনের কপালে। এমনকি কোম্পানির শেয়ারমূল্যও কমে গেছে এ ঘটনার পর।
অন্যদিকে, এআই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করায় গত বছর নিজস্ব শেয়ারমূল্যে বড় উত্থান দেখেছে এনভিডিয়া, মেটা ও অ্যালফাবেটের মতো কোম্পানিগুলো।