Published : 03 Jul 2025, 02:45 PM
‘কনটেন্ট ক্রিয়েটর’কে যথাযথ পেশা হিসেবে দেখা দরকার। এটিকে পেশা হিসেবে আনুষ্ঠানিক ও সরকারিভাবে স্বীকৃতিও দেওয়া উচিত– এমনই বলেছে ইউটিউব।
ভিডিও প্লাটফর্মটির দাবি, যারা ইউটিউব ও অন্যান্য সাইটে ভিডিও তৈরি করেন তাদের যথাযথ স্বীকৃতি না থাকায় এই শিল্পের অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ইউটিউব বলেছে, সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ও বিস্তৃত শিল্প খাতের আরও অংশগ্রহণ থাকলে প্রয়োজনীয় সহায়তা সহজে পেতে পারতেন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা।
প্লাটফর্মটি বোঝাতে চাইছে, কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের কাজকে সরকারিভাবে অর্থিক প্রতিবেদনে যুক্ত করা, ঋণ ও গৃহঋণ পাওয়ার সুযোগ তৈরি এবং বিভিন্ন সরকারি ও নীতিনির্ধারণী প্রতিষ্ঠানে তাদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা উচিত। এর মাধ্যমে আরও কিছু বাস্তব সমস্যা যেমন ভিডিও রেকর্ড করার জন্য জায়গা পাওয়ার ক্ষেত্রেও কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সহায়তা পাওয়া সম্ভব হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
প্রথমবারের মতো ‘ক্রিয়েটর কনসালটেশন’ নামের বড় এক গবেষণা করেছে ইউটিউব, যা একটি জাতীয় উদ্যোগ ও এতে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের সঙ্গে কাজ করে তাদের শিল্পে যেসব সমস্যা আছে তা বোঝার চেষ্টা করেছে প্লাটফর্মটি।
এ গবেষণাটি মূলত যুক্তরাজ্যের জন্য তৈরি, যেখানে ইউটিউব বলেছে, কনটেন্ট ক্রিয়েটররা দেশটির অর্থনীতিতে দুইশো কোটি পাউন্ডেরও মতো অবদান রাখছে। ইউটিউবের পক্ষ থেকে এটি এমন প্রথম পদক্ষেপ, যেখানে দেশটির ক্রিয়েটরদের সাহায্য ও তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করছে তারা।
ক্রিয়েটরদের মতামত থেকে প্রাপ্ত প্রতিক্রিয়ার ভিত্তিতে সরকার থেকে স্বীকৃতি চাইছে গুগল মালিকানাধীন ইউটিউব। যার মধ্যে রয়েছে “ক্রিয়েটরদের জন্য মন্ত্রী” নিয়োগ, শিল্প খাতে ভালো প্রতিনিধিত্ব, বেশি দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, অর্থায়নে সহজতর প্রবেশাধিকার এবং ভিডিও চিত্রায়নের জন্য নতুন নিয়ম ও অবকাঠামো উন্নয়নের মতো বিষয়।
এরইমধ্যে যুক্তরাজ্যের সরকারের সঙ্গে সেইসব পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনাও করছে ইউটিউব। প্লাটফর্মটি বলেছে, কিছু বিষয়ে সাহায্যও করছে সরকার। যেমন– ‘ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যান্ড টিভি স্কুল’-এর সঙ্গে মিলিয়ে ‘কনটেন্ট ইনকিউবেটর’ চালু করা হয়েছে, যেখানে ক্রিয়েটরদের দক্ষতা শেখানোর কাজ চলছে।
যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের ইউটিউব ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যালিসন লোম্যাক্স বলেছেন, “প্রথমবারের মতো এ ধরনের পরামর্শ সভায় যুক্তরাজ্যের হাজার হাজার প্রতিভাবান ক্রিয়েটরের এত ভালো সাড়া পাওয়ার বিষয়টি সত্যিই অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে।
“পরামর্শ সভার ফলাফল থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এমন স্পষ্ট নীতিমালা চাইছি, যেখানে দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের উন্নতি এবং অর্থায়নে সহজ প্রবেশাধিকার থাকবে। এ উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে তার প্রভাব, উদ্ভাবন ও প্রতিভাকে নিশ্চিত করতে পারবেন যুক্তরাজ্যের ক্রিয়েটররা, যা আমাদের সামগ্রিক সৃজনশীল শিল্পের ভবিষ্যত বৃদ্ধি এবং বিশ্বজুড়ে শক্তিশালী রপ্তানি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”