০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
“আমাদেরকে আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ঘোষণাপত্র দেবেন। একবার মুলা দেখিয়েছিলেন ছাত্র-জনতাকে; ঘোষণাপত্র দেবেন বলেছিলেন, উনি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। এবার যদি হেরফের হয় আসিফ নজরুল বাংলাদেশে থাকবেন কি না জানি না।”
সংবিধান নতুন করে প্রণয়ন ছাড়া নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয় মন্তব্য করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিচারে রূপরেখা চায় জনগণ।
ধরা যাক, অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে এনসিপির দাবি অনুযায়ী সংসদের আগে গণপরিষদ নির্বাচন দিল। কিন্তু সেই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচিত হয়ে আসার কোনো আলামত এনসিপির কর্মকাণ্ডে প্রতীয়মান হচ্ছে না। যদি তা-ই হয় সংস্কারের কী হবে?
“আদৌ গণপরিষদের প্রয়োজন আছে কি না, সেজন্য জাতীয় নির্বাচনের সময় আলাদা ব্যালটে মতামত নেওয়া যেতে পারে,” বলেন অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ।
“যেই নামে ডাকুন না কেন, সেই বাংলাদেশে আমাদের সম্প্রীতির সাথে বসবাস করতে হবে।”
সেকেন্ড রিপাবলিক ও গণপরিষদ নির্বাচন ইস্যুতেও রাজনৈতিক ঐকমত্যের সম্ভাবনা কম এবং যদি এই ইস্যুতে ঐকমত্য গড়ে না ওঠে, তাহলে নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অপরাপর দলগুলোর বিরোধ তৈরি হবে কি না এবং সেই বিরোধ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করবে কি না কিংবা নির্বাচনি প্রক্রিয়াটি আরও দীর্ঘায়িত করবে কি না— সেই সব ভাববার অবকাশ রয়েছে।
“গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উত্তরণের পথটা যত দীর্ঘায়িত হওয়া যায়, ততই বোধহয় তাদের লাভ, কারো ক্ষমতা দীর্ঘায়িত হবে আর কারো কারো মনবাসনা পূর্ণ হবে,” বলেন তিনি।
যারা সংবিধান পুনর্লিখন জরুরি বলে মনে করেন তাদের যুক্তি হলো, জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের সূচনা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে হলেও এর অন্তর্নিহিত দাবি ছিল রাষ্ট্র সংস্কার।