০২ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
শ্রীলঙ্কা তাদের সংকটে মুখ ঢাকেনি—তারা স্বীকার করেছে, পরিবর্তন করেছে, পথে নেমেছে। বাংলাদেশ এখনো পুরনো ভুল ঢাকতে ব্যস্ত, আত্মপ্রবঞ্চনার ঘেরাটোপে বন্দি।
গত বছরের ৫ অগাস্টের পর সারা দেশে যেসব বাড়িঘর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে, সেখানে রজনৈতিক প্রতিহিংসার পাশাপাশি চাহিদামাফিক চাঁদা না দেওয়াও একটি বড় কারণ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই সময়ে সংবাদমাধ্যমের ওপর সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার ‘হস্তক্ষেপ বন্ধ’ হলেও ‘মবের’ হুমকির নতুন প্রবণতা দেখার কথা বলেছেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।
“আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘটা হত্যা, গুম, খুনের জন্য সম্মতি উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করা হয়েছে।“
গণমাধ্যমের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপ আগের তুলনায় কমেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি’র আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। জাতীয় প্রেসক্লাবে রোববার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের আলোচনা এই কথা বলেন নাহিদ।
সাংবাদিকদের পেশাগত সুরক্ষায় বেশ কিছু সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম কমিশন। একইভাবে সাংবাদিকের জন্য ঝুঁকি ভাতা, বিমা ও পেনশন চালু করার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশনও।
২০২৪ সালের অভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক কাঠামোকে আঘাত করেছে, কিন্তু পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে কিনা তা এখনও অজ্ঞাত।
একটি শক্তিশালী, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বদলি নীতি এবং তার ধারাবাহিক বাস্তবায়ন ছাড়া শিক্ষাখাতের বিশৃঙ্খলা দূর হবে না।