০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
তবে কমিশনের সদস্য নূর খান বলছেন, সেনাবাহিনী প্রাতিষ্ঠানিকভাবে জড়িত না থাকলেও গুমের বিষয়টি তারা ‘জানত’।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমে জড়িত কর্মকর্তাদের অনেকে এখনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তারা ঘটনার শিকার ও স্বাক্ষীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চলছেন বলেও প্রমাণ পেয়েছে গুম সংক্রান্ত অনুসন্ধান কমিশন। গুমের শিকার হওয়াদের জীবনের ঝুঁকি কমাতেই কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন গুম কমিশনের প্রধান মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
কমিশনের চেয়ারম্যান বলছেন, “তাদের নাম প্রকাশ করলে ভিকটিমদের জীবন ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারে। এই কারণে তাদের নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না।”
কমিশন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, অধিকার রক্ষা ও যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিতের অবস্থা থেকে সরে এসে বিচারিক ব্যবস্থাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে’ ব্যবহার করা হয়েছে। যার মাধ্যমে ‘নিবর্তনকে বৈধ এবং বিরোধীদের অপরাধী’ বানানো হয়েছে।
সাক্ষাতে গ্রাজিনা বারানোভস্কা বিভিন্ন সংস্থায় (যেমন র্যাব, ডিজিএফআই, বিজিবি) অতীতে কর্মরত কিছু সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে, বলেন ইউনূস।
“এই আইন হলে যেকোনো সরকারের জন্য কাউকে গুম করা অনেক রিস্ক ও কষ্টসাধ্য হবে,” বলেন তিনি।