Published : 10 May 2025, 11:18 AM
পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারত এবার তাদের সহায়ক সামরিক বাহিনী টেরিটোরিয়াল আর্মির ৩২টি পদাতিক ব্যাটেলিয়নের ১৪টিকে সক্রিয় করল।
২০২৮ সাল পর্যন্ত এই ‘টেরিয়ার’রা দেশজুড়ে মোতায়েন থাকবে, শুক্রবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমনটাই জানিয়েছে।
‘বাড়তি প্রস্তুতি ও কৌশলগত শক্তিবৃদ্ধির’ লক্ষ্যে এই টেরিটোরিয়াল আর্মিকে তলব করা হয়েছে, এনডিটিভিকে এমনটাই বলেছে একাধিক সূত্র।
পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলাকে ঘিরে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা শেষ পর্যন্ত সংঘাতে রূপ নিয়েছে। তার মধ্যেই ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই টেরিটোরিয়াল আর্মিকে তলব করল।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, টেরিটোরিয়াল আর্মি (টিএ) একটি স্বেচ্ছাসেবী বাহিনী, যেখানে পেশাজীবী, ব্যবসায়ীসহ নানা পেশার মানুষ অবসরে সামরিক প্রশিক্ষণ নেন। এতে ১৮ থেকে ৪২ বছর বয়সী, শারীরিকভাবে সক্ষম ভারতীয় নাগরিকরা প্রতি বছর দুই মাসের সামরিক প্রশিক্ষণ নেন।
১৯৮৪ সালের এক সেনা নির্দেশে টিএ-র দায়িত্ব সম্পর্কে সংক্ষেপে বলা হয়েছে, তা হল- নিয়মিত সেনাবাহিনীকে স্থায়ী দায়িত্ব থেকে মুক্ত রাখা, দুর্যোগে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা, জরুরি পরিষেবা চালু রাখা, এবং প্রয়োজনে নিয়মিত সেনাবাহিনীর জন্য ইউনিট প্রস্তুত রাখা।
মূলত যুদ্ধে সেনাবাহিনীর জনবল বাড়ানো, উগ্রবাদ দমন ও গোলযোগপূর্ণ এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, রেল, টেলিযোগাযোগসহ জরুরি পরিষেবা চালু রাখা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য জরুরি পরিস্থিতিতে বেসামরিক কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করাই এই বাহিনীর কাজ।
পাকিস্তানের সঙ্গে আগের চার যুদ্ধের সময়ও ভারতের এই টেরিটোরিয়াল আর্মি সক্রিয় করা হয়েছিল।
সৈন্যসংখ্যা বিবেচনায় ভারত পাকিস্তানের তুলনায় বেশ এগিয়ে আছে বলে জানিয়েছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
তাদের হিসাবে, ভারতের সেনাসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ, তাদের প্যারামিলিটারি বাহিনীগুলোতে আছে আরও ১৬ লাখ যোদ্ধা। অন্যদিকে পাকিস্তানের সক্রিয় সেনাসদস্য ৭ লাখ, প্যারামিলিটারিতে আছে আরও তিন লাখ।
পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর থেকে ভারত সীমান্ত এলাকাগুলোতে শক্তি বৃদ্ধিতে মনোযোগী হয়, তারই ধারাবাহিকতায় এই টেরিটোরিয়াল আর্মিকে ডাকা হয়েছে বলে একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। আপাতত এই বাহিনীর ১০ হাজার সদস্যকে মোতায়েন করার ইচ্ছা ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের।