Published : 25 May 2025, 11:43 PM
ইউক্রেইনে হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। দেশটিতে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে শনিবার এক রাতেই রাশিয়ার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র বিভিন্ন নিশানায় আঘাত হেনেছে। এটিই এখন পর্যন্ত চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় বিমান হামলা।
ইউক্রেইনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, গত শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭ টার দিক থেকে রাশিয়া বিভিন্ন ধরনের রেকর্ড ৩৬৭ টি ক্ষেপণাস্ত্র, মনুষ্যবিহীন আকাশযান ইউএভি এবং ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
এর মধ্যে ৪৫ টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ২৬৬ টি ইউএভি ধ্বংস করেছে ইউক্রেইনের সেনারা। হামলায় ইউক্রেইনের বেশির ভাগ এলাকাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ২২ টি স্থানে ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিবিসি জানায়, রোববার সকালে এক্সে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ব্যাপক মাত্রার এই হামলার পর উদ্ধারকারীরা ৩০ টিরও বেশি গ্রাম ও শহরে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
“রাশিয়া যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করছে এবং প্রতিদিনই মানুষ মারছে। দুনিয়া হয়ত সাপ্তাকি ছুটিতে যেতে পারে। কিন্তু যুদ্ধ চলতেই থাকে, সেখানে নেই কোনও সপ্তাহান্ত কিংবা সাপ্তাহিক ছুটির দিন। এ বিষয়টি উপেক্ষা করা যায় না,” বলেন তিনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইউক্রেইনের সামরিক বিমানঘাঁটি, গোলাবারুদের গুদাম,তড়িৎ চৌম্বকীয় যুদ্ধকেন্দ্রগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। এতে ১৪২ টি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ওদিকে, ইউক্রেইনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, ১৩ টি এলাকায় হামলা হয়েছে। ৬০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। ৮০ টি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২৭ টি জায়গায় আগুন লেগেছে। কয়েকটি জায়গায় মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
তিনি রাশিয়ার এ হামলাকে ‘বেসামরিক নাগরিকদের ওপর চালানো বেপরোয়া সমন্বিত হামলা’ আখ্যা দেন। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার নেতাদের ওপর কঠোর চাপ প্রয়োগ করা ছাড়া তাদের এই বর্বরতা থামবে না।
তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতা, বিশ্বের অন্যদের নীরবতা কেবল পুতিনকে (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট) উৎসাহিত করছে।” পুতিন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে পুরোদস্তুর সামরিক অভিযান শুরু করেছিলেন।
তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই যুদ্ধে বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে ইউক্রেইনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখন্ড। এর মধ্যে আছে ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখল করা ইউক্রেইনের ক্রাইমিয়া উপদ্বীপও।