Published : 20 Oct 2024, 02:24 PM
এক দিনের মধ্যে দুইবার জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের পর কিউবার লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছেন।
শনিবার রাতে দেশটির সরকার জানিয়েছে, কিউবার প্রায় এক পঞ্চমাংশ ব্যবহারকারীর বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের চালু করা গেছে।
এক কোটি মানুষের দেশ কিউবা খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানি সঙ্কটে ভুগছে। এর মধ্যে নজিরবিহীনভাবে দেশজুড়ে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনা আরেকটি ধাক্কা হয়ে এসেছে।
কিউবার বিদ্যুৎ পরিষেবার শীর্ষ কর্মকর্তা লাসারো গেয়ের্রা জানান, গ্রিড অপারেটরা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন কিন্তু প্রক্রিয়াটি ধীর হতে পারে আর এ কাজে তাড়াহুড়া করতে গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
রয়টার্স জানায়, শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায়ও রাজধানী হাভানা অন্ধকারে ছিল। ঘূর্ণিঝড় অস্কার আসার আগে ক্যারিবীয় দ্বীপ কিউবার অধিকাংশ এলাকায় প্রবল বাতাস বইছে ও বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই হারিকেনটি কিউবার উত্তরপূর্বাংশ ছুঁয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরের দিকে দেশটির অন্যতম প্রধান উৎপাদনকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রথম বিদ্যুৎ গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দেয়। শনিবার সকলে গ্রিডটি আবার অচল হয়ে পড়ে।
দুইবার গ্রিড বিপর্যয়ের আগে শুক্রবার দেশটিতে ব্যাপক বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল। পরিস্থিতি সামল দিতে সরকার জরুরি নয় এমন সকল সরকারি কর্মীকে বাসায় পাঠিয়ে দেয় এবং শিশুদের স্কুলগুলো বন্ধ রাখে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জ্বালানি সংরক্ষণ করতে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল।
কিছুদিন ধরে কিউবার অধিকাংশ এলাকায় দিনে ১০ থেকে ২০ ঘণ্টা ধরে লোডশেডিং করা হচ্ছিল। এ পরিস্থিতির জন্য দেশটির সরকার দুর্বল হতে থাকা অবকাঠামো, জ্বালানি ঘাটতি ও বাড়তে থাকা চাহিদাকে দায়ী করেছে।
কিউবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহে হারিকেন মিল্টনের প্রভাবে বইতে থাকা প্রবল বাতাসের কারণে সাগরে থাকা জাহাজগুলো থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি।
এই পরিস্থিতির জন্য কিউবা যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞাকেও দায়ী করেছে। পাশাপাশি জ্বালানি ও তেল-চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য যেসব খুচরা যন্ত্রাংশ লাগে সেগুলো সরবরাহের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকেও চলমান সমস্যার জন্য দায়ী করেছে দেশটি।
আরও পড়ুন:
বিদ্যুৎ বিপর্যয়ে অন্ধকারে কোটি কিউবান