Published : 11 Jun 2025, 02:51 PM
ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় বুধবার অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এদের অধিকাংশই নিহত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থনে গাজায় মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় স্থাপিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) ত্রাণ কেন্দ্রের আশপাশে।
গাজার আল-শিফা ও আল-কুদস হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজার নেটজেরিম এলাকার কাছে জিএইচএফের ত্রাণ কেন্দ্রের দিকে এগোনোর সময় গুলি করে অন্তত ২৫ জনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার আরও বহু ফিলিস্তিনি আহত হন।
তারা জানান, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর অন্য হামলাগুলোয় আরও ২০ জন নিহত হন।
রয়টার্স জানিয়েছে, এসব হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
মঙ্গলবার গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় জিএইচএফের আরেকটি ত্রাণ কেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে ১৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছিল, ‘সন্দেহভাজনরা’ সেনাদের দিকে এগিয়ে আসছিল আর ‘হুমকি তৈরি’ করেছিল, তাদের দূরে রাখতেই সতর্কতমূলক গুলি ছোড়া হয়েছিল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার বলেছেন, গাজায় থাকা অবশিষ্ট জিম্মিদে মুক্তি নিশ্চিত করতে নেওয়া উদ্যোগে ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে, তবে এ বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো আশা করাটা এখনই ঠিক হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গাজায় ফের অস্ত্রবিরতি করা নিয়ে ইসরায়েল বা হামাস, কেউই তাদের মূল দাবি থেকে সরে আসার কোনো আগ্রহ দেখায়নি। চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থতার জন্য উভয়পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ করে আসছে।
হামাসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, অস্ত্রবিরতি নিয়ে নতুন কোনো প্রস্তাব আছে কি না, তা তাদের জানা নেই।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল হামাসের যোদ্ধাদের আক্রমণকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া গাজা যুদ্ধে এ পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রায় ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক আর পুরো গাজা ভূখণ্ড প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।