Published : 11 Feb 2025, 04:28 PM
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাত বছর বয়সী এক ছাত্রীকে ছুরিকাঘাতের কথা স্বীকার করেছেন স্কুলটির এক শিক্ষিকা। ওই ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় পাওয়ার পর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার মধ্যাঞ্চলীয় দেজেওন শহরের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় সবাই স্তম্ভিত হলেও ওই শিক্ষিকাকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
এক পুলিশ কর্মকর্তা মঙ্গলবার জানান, নিজের ছুরির আঘাতে আহত ওই নারীকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে আর পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে দেখছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ৪০ বছর বয়সী এই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করার কথা স্বীকার করেছেন। সম্ভবত তিনি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ।
রয়টার্স জানায়, সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্কুলের দ্বিতীয় তলায় শিশুটিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তার ঘাড়ে ও মুখে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক ব্রিফিংয়ে দেজেওন মেট্রোপলিটন শিক্ষা দপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, শিশুটির দাদী তাকে খুঁজে পায়।
পুলিশ জানায়, ওই শিক্ষিকাকেও আহত অবস্থায় সেখানে পাওয়া যায়। তার আঘাত আত্মহত্যার চেষ্টা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেজেওনের শিক্ষা দপ্তর জানায়, গত ৯ ডিসেম্বর হতাশাকে কারণ দেখিয়ে ওই শিক্ষিকা ছয় মাসের ছুটি নিয়েছিলেন, তবে চিকিৎসকের ছাড়পত্র নিয়ে মাত্র ২০ দিন ছুটি কাটিয়ে তিনি আবার স্কুলে ফিরে আসেন। তখনও কয়েকবার সহিংস আচরণ করেছিলেন তিনি।
নিহত শিশুটি একই স্কুলের ছাত্রী হলেও তাদের মধ্যে কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে, এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক শিশুটির মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি শিক্ষা মন্ত্রাণালয় ও কর্তৃপক্ষকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বন্ধ থাকা স্কুলের গেটে ফুল ও পুতুল দিয়ে শিশুর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন স্থানীয়রা।