Published : 13 May 2025, 12:25 AM
আগামী চার বছরে যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।
তিনি বলেছেন, অভিবাসন আইন কঠোর না হলে যুক্তরাজ্য “আগন্তুকদের এক দ্বীপে” পরিণত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবে।
রয়টার্স লিখেছে, ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে গণভোটের পেছনে বড় কারণ ছিল অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ।
কিন্তু ইইউ ত্যাগের পরও যুক্তরাজ্যে নিট অভিবাসনের হার রেকর্ড ছাড়ায়, যা ডানপন্থি ও অভিবাসনবিরোধী দল রিফর্ম ইউকে-এর নেতৃত্বে থাকা নাইজেল ফারাজের অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
সোমবার একগুচ্ছ অভিবাসন সংস্কারের ঘোষণা দিয়ে স্টারমারের মধ্য-বামপন্থি লেবার সরকার জানায়, অভিবাসীদের জন্য ইংরেজি জানার শর্ত আরও কড়াকড়ি করা হবে, দেশটিতে থাকা আরও কঠিন করা হবে, এবং কেয়ার হোমসহ বিভিন্ন কোম্পানির বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আসবে।
যুক্তরাজ্যে নাগরিকত্বের আবেদন করার স্বয়ংক্রিয় অধিকার মিলবে ১০ বছর বসবাসের পর, আগের মতো ৫ বছর নয়। আর দক্ষ কর্মী ভিসা মিলবে কেবল স্নাতক পর্যায়ের যোগ্যদের জন্য।
“ভুল করবেন না, এই পরিকল্পনা মানেই অভিবাসনের হার কমবে—এটি আমার প্রতিশ্রুতি। প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে—এই কথা মনে রাখবেন,” ডাউনিং স্ট্রিটে সাংবাদিকদের বলেন প্রধানমন্ত্রী স্টারমার।
কঠোর অভিবাসন আইনের ফলে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে- ব্যবসায়ী নেতাদের এমন আশঙ্কা স্টারমার উড়িয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সম্প্রতি কয়েক বছরে অভিবাসন বাড়লেও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থমকে রয়েছে। তার কথায়, অভিবাসনের হার বাড়লেই প্রবৃদ্ধি বাড়বে এর কোনও মানে নেই, গত চার বছরেই সেটি দেখা গেছে।
তবে নিট অভিবাসন কমানোর নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণে অস্বীকৃতি জানিয়ে স্টারমার বলেন, আগের সরকারগুলোর স্বেচ্ছাচারী প্রতিশ্রুতি ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের কর্মকর্তারা বলছেন, এসব পরিকল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই প্রক্রিয়াধীন ছিল।
কিন্তু এ মাসে ইংল্যান্ডে স্থানীয় নির্বাচনে রিফর্ম ইউকে পার্টি সর্বাধিক আসন পাওয়ার পর এবং মতামত জরিপে এগিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে অভিবাসনের উচ্চ হার নিয়ে ভোটারদের উদ্বেগ কমাতে এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।