Published : 27 Feb 2025, 11:37 PM
ব্যাংককের বন্দিশালায় ১০ বছর ধরে আটক থাকা উইঘুরদের চীনে ফেরত পাঠাচ্ছে থাইল্যান্ড। অন্তত ৪০ জনকে এরই মধ্যে চীনে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করে জানিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।
চীনে এই উইঘুররা নির্যাতনের শিকার হতে পারে এমনকী জীবনও হারাতে পারে- মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর এমন সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে থাইল্যান্ড তাদেরকে ফেরত পাঠাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার একটি ফ্লাইটে করে ওই ৪০ উইঘুরকে চীনে পাঠানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০১৫ সালের পর এবারই থাইল্যান্ড প্রথম উইঘুরদের চীনে পাঠাল।
উইঘুররা চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলের একটি মুসলিম জাতিগোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানো এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের অভিযোগ আছে চীনের বিরুদ্ধে।
বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাতিসংঘ এই উইঘুরদের নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশের পর গোপনীয়তা বজায় রেখে থাইল্যান্ড তাদেরকে চীনে ফেরত পাঠিয়েছে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোর সকালে উইঘুরদের নিয়ে কয়েকটি ট্রাক ব্যাংককের মূল অভিবাসী আটক কেন্দ্র ছেড়ে গেছে। ট্রাকগুলোর জানালা কালো প্লাস্টিক শীটে মোড়ানো ছিল।
এর কয়েকঘণ্টা পর ট্র্র্যাকার ফ্লাইটরাডার২৪ এ দেখা যায়, চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের শিডিউলবিহীন একটি ফ্লাইট থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক ছেড়ে যাচ্ছে। ফ্লাইটটি শিনজিয়াংয়ে পৌঁছে।
থাই সরকার পরে জানায়, তারা ৪০ জন উইঘুরকে চীনে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ, তাদেরকে এক দশকের বেশি সময় ধরে আটকে রাখা ঠিক নয়। আর তৃতীয় কোনও দেশও তাদেরকে নিতে এগিয়ে আসেনি। অতীতে তুরস্ক উইঘুরদের আশ্রয় দিয়েছিল।
থাইল্যান্ডে বাদবাকী আরও ৮ উইঘুর আছে। এর মধ্যে ৫ জন আটক থাকার সময়ে অপরাধ করার সাজা হিসাবে জেল খাটছে।
থাইল্যান্ড সরকার আরও জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা সম্প্রতি চীন সফর করার সময় আশ্বাস পেয়েছেন যে, উইঘুরদের ফেরত দেওয়া হলে চীন তাদের দেখভাল করবে।