Published : 08 Jun 2025, 05:20 PM
অবৈধ অভিবাসী আটক অভিযানের প্রতিবাদে টানা দুই দিন ধরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের শহর লস অ্যাঞ্জেলেস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেনারা লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের এক কর্মকর্তা।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে সহিংসতা চললে পেন্টাগন সক্রিয় দায়িত্বে থাকা সেনা সেখানে পাঠাতে প্রস্তুত।
মেরিন কর্পস বেজ ক্যাম্প পেন্ডেলটনে সেনারা উচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে বলে জানান তিনি।
গত কয়েক দিন থেকেই লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ ক্যালিফর্নিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় মার্কিন অভিবাসন এবং শুল্ক দফতরের (আইসিই) কর্মকর্তারা হানা দিচ্ছেন।
ব্যাপক ধরপাকড় চলছে। শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত আইসিই ১১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর প্রতিবাদেই পথে নেমেছেন মানুষ।
প্রতিবাদকারীরা বলছেন, ট্রাম্প প্রশাসন অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে। এর ফলে অভিবাসীরা ভীত-সন্ত্রস্ত। স্থানীয় সময় শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ–সংঘর্ষ হয়।
আইসিই কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা সংঘর্ষে জড়ায়। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়া হয়। লাঠিচার্জও করা হয়।
এমন অরাজক পরিস্থিতিতে লস অ্যাঞ্জেলেসে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেখানে ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন করতে একটি নির্দেশিকায় সই করেছেন বলে জানান হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট।
ক্যালিফর্নিয়া প্রশাসন ট্রাম্পের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে উস্কানিমূলক। এর ফলে উত্তেজনা আরও বাড়বে।”
ওদিকে, ট্রাম্প কড়া ভাষায় ক্যালিফর্নিয়া প্রশাসনের সমালোচনা করে লিখেছেন, “ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর, লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের মেয়র নিজেদের কাজ করতে না পারলে কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তক্ষেপ করতে হবে।’’
তবে গেভিন নিউসম বলেছেন, “লস অ্যাঞ্জেলেস প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুরোপুরি সক্ষম। কেন্দ্রীয় সরকার ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে। এতে জনগণের আস্থা নষ্ট হবে।”