Published : 25 Jul 2024, 10:11 AM
জাতিসংঘ জানিয়েছে, পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত তিনটি গ্রামে সহিংস হামলার ঘটনায় ১৬ শিশুসহ ২৬ জন নিহত হয়েছেন। হামলাকারীরা ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার পর গ্রামগুলোর বহু বাসিন্দা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেন, “পাপুয়া নিউ গিনিতে মর্মাহত হওয়ার মতো প্রাণঘাতী সহিংসতা শুরু হওয়ায় আমি আতঙ্কিত। আপাতদৃষ্টিতে এটি ভূমি ও হ্রদের মালিকানা ও ভোগ করা নিয়ে বিরোধের ফল।”
পিএনজির কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ লোকজনের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ ও ১৮ জুলাই পিএনজির ইস্ট সেপিক প্রদেশে হামলার ঘটনাগুলো ঘটেছে। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার পর গ্রামগুলোর দুইশরও বেশি বাসিন্দা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশী পাপুয়া নিউ গিনিতে শত শত উপজাতি ও ভাষার জনগোষ্ঠীর বসবাস। এসব জনগোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ের দীর্ঘ ইতিহাস আছে। গ্রামবাসীরা গত দশকে তীর ও ধনুকের বদলে সামরিক রাইফেল ব্যবহার করা শুরু করেছে, এতে সহিংসতা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে আর নির্বাচনি ব্যবস্থা বিদ্যমান জাতিগত বিভেদ আরও গভীর করে তুলেছে।
মে মাসে এনগা প্রদেশে এ ধরনের একটি লড়াই চলাকালে অন্তত আটজন নিহত ও ৩০টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এর আগে ফেব্রুয়ারিতে একই অঞ্চলে এক চোরাগোপ্তা হামলায় অন্তত ২৬ জন পুরুষ নিহত হন।