Published : 08 Oct 2024, 04:58 PM
ইসরায়েল যদি ইরানের কোনো অবকাঠামোতে আঘাত হানে তাহলে আরও শক্তিশালী পাল্টা আঘাত হানা হবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত সপ্তাহে ইরান প্রায় ২০০ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইসরায়েলে আক্রমণ চালিয়েছে। ইসরায়েল এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছে।
মঙ্গলবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, “আমরা ওই জায়নবাদী সরকারকে (ইসরায়েল) ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের (ইরান) স্থিরসংকল্পের পরীক্ষা না নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।”
তিনি বলেন, “জায়নবাদী দেশটির (ইসরায়েল) ভেতরের কোন ধরনের লক্ষ্যস্থলগুলো আমাদের আওতার মধ্যে আছে শত্রুরা তা জানে।”
পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নিতে থাকা ইসরায়েল ইরানের তেল অবকাঠামোগুলোতে আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রোববার ইরানের তেলমন্ত্রী দেশটির প্রধান রপ্তানি টার্মিনাল খার্গ দ্বীপ পরিদর্শনে যান। সেখানে তিনি ইরানের নৌবাহিনীর এক কমান্ডারের সঙ্গে কথা বলেন বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
সোমবার নিউ ইয়র্ক টাইমস মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নয় বরং ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের সামরিক ঘাঁটি ও গোয়েন্দা স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের ধারণা, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের হামলা ব্যর্থ হতে পারে আর আক্রমণ নিস্ফল হওয়া সত্ত্বেও তা ‘পুরো অঞ্চলজুড়ে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধের উস্কানির কারণ হতে পারে’।
কয়েক বছর ধরে চলা ছায়া যুদ্ধ ও গুপ্ত হত্যার পর ইসরায়েলে কয়েক মাসের মধ্যে ইরানের পরপর দুইবার ব্ড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পরিস্থিতি বিস্ফোরক হয়ে আছে। পুরো মধ্যপ্রাচ্য একটি বড় ধরনের আঞ্চলিক যুদ্ধের প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে।
ইসরায়েল ইরানের তেল অবকাঠামোতে আঘাত হানলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে গিয়ে তা বিশ্বজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।