Published : 11 Jun 2025, 01:23 PM
যুক্তরাষ্ট্র ও চীন জানিয়েছে, বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাস করতে একটি চুক্তির কাঠামোর বিষয়ে তারা নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।
মঙ্গলবার দেশ দুটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই পরিকল্পনা তাদের ‘বাণিজ্য যুদ্ধের অস্থায়ী বিরতি’ আবার কার্যকর করবে এবং বিরল মৃত্তিকার ওপর চীনের রপ্তানি বিধিনিষেধ অপসারণ করবে।
তবে এসব সমঝোতা সত্ত্বেও দীর্ঘ দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান বাণিজ্য পার্থক্য সমাধানের লক্ষণ তেমন একটা দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
লন্ডনে দুই দিন ধরে তীব্র দরকষাকষির পর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লাটনিক সাংবাদিকদের বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক প্রতিশোধমূলক শুল্কের বাধা সহজ করতে গত মাসে জেনিভায় দুই পক্ষ যে সমঝোতায় পৌঁছেছিল এই পরিকল্পনা সেটির ‘হাড়ের ওপর মাংস’ বসিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খনিজ রপ্তানিতে চীনের অব্যাহত বিধিনিষেধের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন চীনে সেমিকন্ডাক্টর নকশা করার সফটওয়্যার, আকাশযান ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করলে জেনিভা চুক্তি অকার্যকর হয়ে পড়ে।
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টাপাল্টি প্রতিশোধমূলক শুল্ক তিন অঙ্কের বিষপর্যকর মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল।
লাটনিক জানিয়েছেন, লন্ডনে দুই পক্ষ যে সমঝোতায় পৌঁছেছে তা যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক কিছু রপ্তানি বিধিনিষেধ অপসারণ করবে।
লন্ডনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতের দিকে দুই পক্ষের আলোচনা শেষ হলেও বৈঠকের বিস্তারিত এখনও জানানো হয়নি।
লাটনিক শুধু জানিয়েছেন, দুই প্রেসিডেন্টের টেলিফোন আলাপে ও জেনিভায় তাদের মধ্যে যে ঐক্যমত হয়েছিল তা ‘বাস্তবায়ন করতে তারা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন’।
তিনি বলেছেন, “ধারণাটি হচ্ছে, আমরা ফিরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবো এবং তিনি যেন এটি অনুমোদন করেন তা নিশ্চিত করবো। তারাও ফিরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলবে এবং তিনি যেন এটি অনুমোদন করেন তা নিশ্চিত করবে। যদি এটা অনুমোদিত হয় তখন আমরা চুক্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবো।”
পৃথক এক ব্রিফিংয়ে চীনের উপ-বাণিজ্যমন্ত্রী লি ছেংগাংও নিশ্চিত করেছেন যে একটি বাণিজ্য চুক্তির কাঠামোর বিষয়ে নীতিগতভাবে দুই পক্ষ একমত হয়েছে আর সেটি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের নেতাদের কাছে নিয়ে যাওয়া হবে।