Published : 07 Apr 2025, 04:22 PM
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের তুরমিউজ আইইয়া শহরে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে এক ফিলিস্তিনি কিশোর নিহত হয়েছেন।
রোববার ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ জানায়, নিহত কিশোর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকও ছিলেন।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, ওই কিশোর ‘সন্ত্রাসী’ ছিল। সে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারছিল বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
সম্প্রতি পশ্চিম তীরে প্রায় প্রতিদিনই সহিংসতা, সংঘাত চলছে। ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলা ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে অঞ্চলটিতে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
তুরমিউজ আইইয়ার মেয়র আদিব লাফি রয়টার্সকে জানান, ওমর মোহাম্মদ রাবেয়া নামের (১৪) ফিলিস্তিন-মার্কিন ওই কিশোর এবং তার সঙ্গে থাকা আরও দু’জন কিশোর শহরের প্রবেশপথে এক ইসরায়েলি বসতিস্থাপনকারীর গুলিতে আহত হন। এরপর সেনাবাহিনী আহত রাবেয়াকে আটক করে এবং পরবর্তীতে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় এই ঘটনাকে ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা’অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, “তুরমিউজ আইইয়া এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় তিনজন সন্ত্রাসীকে সনাক্ত করা হয়। তারা সড়কে চলাচলকারী বেসামরিক ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ছিল। তাদের এমন কর্মকান্ডে বেসামরিকদের স্বাভাবিক চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সেনারা বেসামরিকদের হুমকি দেওয়া ওই সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে একজন নিহত ও দুইজন আহত হয়।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি বসতিগুলোতে বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলিদের হামলা, দখলদারি এবং বেদুইন গ্রামগুলোতে অভিযান বেড়ে গেছে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন সহিংস ইসরায়েলি বসতকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, কিন্তু প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন হোয়াইট হাউজ সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
গত কয়েক মাসে পশ্চিম তীরে ‘সন্ত্রাসবাদ দমনের’ নামে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী যে অভিযানে নেমেছে, তাকে তারা ‘বৃহৎ পরিসরের সামরিক অভিযান’ বলে অভিহিত করছে।
এদিকে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস গত কয়েক বছরে পশ্চিম তীরে তাদের প্রভাব বাড়িয়েছে। পশ্চিম তীরে হামাসের প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ দলের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ সীমিত পরিসরে শাসনকার্য চালায়।